Thailand-Cambodia Border Clash

আমেরিকার মধ্যস্থতায় আবার সীমান্তে সংঘর্ষবিরতির চুক্তি করল তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া, দু’মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার

২৬ অক্টোবর মালয়েশিয়ায় আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে তাইল্যাল্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে প্রথম সংঘর্ষবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৫৪
Thailand and Cambodia sign new ceasefire agreement to end border clash

(বাঁ দিকে) কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী টি সেইহা এবং তাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাত্তাফন নার্কফানিট (ডান দিকে)। ছবি: সমাজমাধ্যম থেকে নেওয়া।

তিন সপ্তাহের সীমান্তযুদ্ধে আপাতত ইতি টানতে সম্মত হল তাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া। শনিবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দু’দেশ সংঘর্ষবিরতি চুক্তিতে সই করেছে। দুপুর থেকেই তা কার্যকর হয়েছে বলে যৌথ বিবৃতিতে ঘোষণা দু’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর।

Advertisement

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের ধারাবাহিক মধ্যস্থতার পরে বৃহস্পতিবার থেকে দু’দেশের প্রতিনিধিস্তরের বৈঠক হয়। সংবাদসংস্থা এপি জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী চান্থাবুরিতে চেকপয়েন্টে আয়োজিত শনিবারের বৈঠকে তাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাত্তাফন নার্কফানিট এবং কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী টি সেইহা হাজির ছিলেন। তাঁরাই সই করেন শান্তিচুক্তিতে। ওই চুক্তি অনুযায়ী জুলাইয়ের সীমান্ত-সংঘর্ষের সময় থেকে বন্দি ১৮ জন কম্বোডিয়ান সেনাকে মুক্তি দেবে তাইল্যান্ড। পাশাপাশি, স্থল এবং আকাশসীমা লঙ্ঘন না করার বিষয়েও ঐকমত্যে এসেছে যুযুধান দু’পক্ষ।

বিতর্কিত ‘পান্না ত্রিভুজ’-এর দখলদারি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে টানাপড়েন চলছে ব্যাঙ্কক-নম পেনের মধ্যে। তাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং আর এক পড়শি দেশ লাওসের সীমান্তবর্তী ওই ভূখণ্ডের দখল নিয়ে ১৯৬২ সালে আন্তর্জাতিক আদালত (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আইসিজে) যে রায় দিয়েছিল, তা অনেকটা কম্বোডিয়ার পক্ষেই গিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের মে মাসের শেষপর্বে কম্বোডিয়া সেনা সেখানে শিবির ও পরিখা নির্মাণের তৎপরতা শুরু করার পরে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। জুলাইয়ের গোড়ায় সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া— দুই দেশের সেনাবাহিনী। তাতে দু’তরফেরই বেশ কয়েক জন সেনা ও অসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছিলেন।

সে সময় মধ্যস্থতায় সক্রিয় হয়েছিল ওয়াশিংটন। ২৬ অক্টোবর মালয়েশিয়ায় আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে তাইল্যাল্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে প্রথম সংঘর্ষবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে দুই সেনা গুরুতর আহত হওয়ার পরেই গত ১০ নভেম্বর পড়শি দেশ কম্বোডিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি মুলতুবি রাখার কথা ঘোষণা করেছিল তাইল্যান্ড। তখন থেকেই নতুন করে সংঘাতের জল্পনা ছড়াতে শুরু করেছিল। ডিসেম্বরের গোড়ায় ফের সীমান্ত-সংঘর্ষ শুরু হয়। কম্বোডিয়ার অন্দরে বিমান হামলা চালানোর অভিযোগও ওঠে তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে।

Advertisement
আরও পড়ুন