Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Lok Sabha Election 2024

আজ থেকেই জেলায় আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটারদের আস্থা বাড়াতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে। বাহিনীকে রাখার জন্য সাতটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।

পূর্ববর্ধমানে শক্তিগড় থানার পক্ষ থেকে বড়শুল এলাকায় চলছে রুটমার্চ ও

পূর্ববর্ধমানে শক্তিগড় থানার পক্ষ থেকে বড়শুল এলাকায় চলছে রুটমার্চ ও সাধারণ মানুষকে নির্ভয়ে থাকার বার্তা দেওয়া। ছবি: জয়ন্ত বিশ্বাস

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৪ ০৯:১৫
Share: Save:

লোকসভা ভোট ঘোষণা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে ঘুরেও যায়নি। তার আগেই আজ, শুক্রবার থেকে জেলায় ঢুকতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রথম দফায় তিন কোম্পানি ও দ্বিতীয় দফায় অর্থাৎ ৭ মার্চের মধ্যে আরও এক কোম্পানি বাহিনীর আসার কথা। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালের মধ্যে ওই বাহিনী পৌঁছে গেলে বিকেল বা সন্ধ্যায় বর্ধমান, কাটোয়া ও নাদনঘাট থানার কয়েকটি জায়গায় রুট মার্চ এবং অঞ্চলভিত্তিক নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করা হবে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের তরফেও ভোটারদের ‘ভয় কাটাতে’ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটারদের আস্থা বাড়াতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে। বাহিনীকে রাখার জন্য সাতটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। বাহিনী বাড়লে জায়গা বাড়ানো হবে। জেলা পুলিশ থেকে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, কাটোয়ার কৈথনের কর্মতীর্থ, পূর্বস্থলী ১ ও রায়না ১ ব্লকের কিসান মান্ডি, বর্ধমানের গোলাপবাগের আন্তর্জাতিক হস্টেল, গলসির কোলকোল, মেমারির আলিপুর, মঙ্গলকোটের নতুনহাট শিক্ষক-প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বাহিনীকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে রুট মার্চ করানো হবে।”

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

পুলিশ কর্তারা জানান, নির্বাচনের সূচি ঘোষণার পরেই আইনশৃঙ্খলা এবং প্রশাসন চলে আসে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সাধারণত, তার পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এ বার কিছুটা ব্যতিক্রমী হয়ে সাধারণ ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে ভোট ঘোষণার আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত।

জেলা পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রথম তিন কোম্পানি বর্ধমান শহর, নাদনঘাট ও কাটোয়া থানা এলাকার নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হবে। সেখান থেকেই বর্ধমান উত্তর, কাটোয়া মহকুমা ও কালনা মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় রুট মার্চ ও অঞ্চলভিত্তিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে বাহিনী। পরে আরও একটি কোম্পানি এলে তাঁদের রায়নার কিসান মান্ডিতে রাখা হবে। সেখান থেকেই রায়না, মাধবডিহি, খণ্ডঘোষ ও জামালপুর থানা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

রাজ্যে প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি, পরে আরও ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে।

পুলিশ মহলের দাবি, ডিসেম্বর থেকে প্রতিটি থানা কমিশনের কাছে আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট পাঠাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখেই ভোটের সূচি ঘোষণার আগে বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2024 Bardhaman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE