Advertisement
E-Paper

২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি মঙ্গলবার, শুনবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ

যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। সোমবার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত শুনানি হওয়ার কথা ছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৪ ১৬:৪২
image of Supreme Court

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল এসএসসি মামলার শুনানি। সোমবারের বদলে মঙ্গলবার হবে এসএসসি মামলার শুনানি। সে দিনই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ শুনবে প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিলের মামলা।

সোমবার মামলাটির শুনানির কথা ছিল শীর্ষ আদালতে। গত শুনানিতে এই মামলায় চাকরি বাতিলের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত। যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। সোমবার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত শুনানি হওয়ার কথা জানিয়েছিল তারা। ইতিমধ্যেই যোগ্যদের আইনি সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

গত ২২ এপ্রিল ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানে রাজ্য ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে। শীর্ষ আদালতে যান চাকরিহারাদের একাংশও। সোমবার একত্রে এই সংক্রান্ত প্রায় ১০টি মামলা শোনার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চের। প্যানেল থেকে কী ভাবে যোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব হবে, গত শুনানিতে সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। নিয়োগ প্রক্রিয়ার একাধিক ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিলের পাশাপাশি যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছে ওই চাকরিপ্রাপকদের। হাই কোর্ট জানায়, এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগুলি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। প্রয়োজনে তারা সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। অভিযোগ ছিল, অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার জন্য বাড়তি পদ তৈরি করা হয়েছিল এসএসসিতে। সেই পদ তৈরির অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রিসভা। কলকাতা হাই কোর্ট আরও জানায়, সিবিআই চাইলে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। হাই কোর্টের এই রায়ের খবর প্রকাশ্যে আসতে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে চাকরিহারাদের মধ্যে। তাঁদের প্রশ্ন, কয়েক জনের দুর্নীতির জন্য সকলের চাকরি কেন বাতিল করা হবে? বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরাও। এ বার সেই মামলায় দেশের শীর্ষ আদালত কী করে, সে দিকে নজর ছিল সব পক্ষের।

রাজ্যে ভোটের প্রচারে এসে যোগ্যদের আইনি সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার বর্ধমানের সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘যোগ্যদের আইনি সাহায্য দেবে বিজেপি। আমি দলের রাজ্য সভাপতিকে বলেছি, রাজ্য বিজেপির তরফে একটি আইনি সহায়তা সেল এবং সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হোক। যাঁরা ঠিক নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও দুর্নীতির শিকার হয়েছেন, তাঁদের সেই সেল থেকে সাহায্য করা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যারা দুর্নীতি করেছে তারা সাজা পাবে। কিন্তু যোগ্যদের জন্য বাংলার বিজেপি কাজ করবে। এটা মোদীর গ্যারান্টি।’’ বিজেপি থেকে সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের আইনি সহায়তা দেওয়া হয় কি না, সে দিকে রয়েছে নজর। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের একাংশের আশা ছিল, সুপ্রিম কোর্টে এসএসসির যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে বিস্তারিত শুনানি হতে পারে। তা হল কি না, জবাব মিলবে মঙ্গলবার।

Supreme Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy