E-Paper

ভোটকর্মী জোগাড় করা নিয়ে চিন্তা

প্রশাসনিক সূত্রে দাবি, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ন্যূনতম প্রায় ১৫ হাজার ৭৫০ জন ভোটকর্মী প্রয়োজন। সমস্যা মেটাতে জেলার শিক্ষকেরাই বড় ভরসা।

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪ ০৮:১৫
election

—প্রতীকী ছবি।

গত শনিবার দেশ জুড়ে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়েছে। ষষ্ঠ দফায় আগামী ২৫ মে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার তিন লোকসভা আসনে হবে ভোট। ভোটের ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক মহলেও শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। তবে ভোটের কাজে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ব্যবহার করা যাবে না, নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশিকায় বাঁকুড়া জেলায় ভোটকর্মী কতটা মিলবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। আড়ালে সমস্যার কথা মানছেন প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশও। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অরিন্দম বিশ্বাসের তবে দাবি, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নির্বাচনকর্মী মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হবে।”

ঘটনা হল, খাদ্য-পূর্ত-স্কুলশিক্ষা দফতর, জেলা পরিষদ-সহ বিভিন্ন দফতরে প্রচুর শূন্যপদ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। এই পরিস্থিতিতে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মী দিয়ে কোনও মতে কাজ চলছে। প্রশাসনিক মহলের একাংশের দাবি, অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাই দফতরের সিংহভাগ কাজে দায়িত্ব সামলান। এক প্রশাসনিক আধিকারিকের দাবি, “শূন্যপদ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, ভোটপ্রক্রিয়া করানোই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

প্রশাসনিক সূত্রে দাবি, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ন্যূনতম প্রায় ১৫ হাজার ৭৫০ জন ভোটকর্মী প্রয়োজন। সমস্যা মেটাতে জেলার শিক্ষকেরাই বড় ভরসা। ইতিমধ্যে ভোটকর্মীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন। ধাপে ধাপে তাঁদের চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। পাশাপাশি, ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি পেতেও চেষ্টা চালাচ্ছেন অনেকে। কেউ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের সমস্যা নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন, তো কেউ জেলার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের উপরে চাপ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে দাবি। উপযুক্ত কারণ ছাড়া তবে ভোটের কাজ থেকে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না, দাবি প্রশাসনের।

এ দিকে, সরাসরি ভোট প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা না গেলেও ভোটের জন্য গড়া নানা সেলে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা যুক্ত থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়ে কমিশনের নির্দেশ খতিয়ে দেখছে জেলা প্রশাসন। অস্থায়ী কর্মীদের একাংশের প্রশ্ন, বছরভর তাঁরা নানা প্রশাসনিক কাজে যুক্ত থাকেন। নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাতে হয়। তার পরেও কোন যুক্তিতে ভোটের কাজ থেকে দূরে রাখা হচ্ছে, বুঝছি না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 bankura

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy