—ফাইল চিত্র।
ভোটপর্বে অশান্তি হলে ১৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবে কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)। সপ্তম দফার ভোট নির্বিঘ্ন করতে এমনই পদক্ষেপ করছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, সপ্তম দফায় আপাতত ৭৮৮টি কিউআরটি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত সব চেয়ে বেশি। প্রয়োজনে সেই সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে বলে জানা গিয়েছে কমিশন সূত্রে।
সপ্তম দফার ভোটে মোট বুথের সংখ্যা ১৭,৪৭০। সব মিলিয়ে ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে কমিশন। যা এ বারের ভোটে সবচেয়ে বেশি। কমিশন সূত্রে খবর, তবে অশান্তি ঠেকাতে কিউআরটি-তেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি কিউআরটি থাকবে কলকাতায়। থাকবে ১৮৫টি দল। ১৪২টি দল রাখা হবে বারুইপুর পুলিশ জেলায়। এ ছাড়া কমিশন জানিয়েছে, বসিরহাট ও সুন্দরবন পুলিশ জেলায় ১০৩, ডায়মন্ড হারবারে ৯৭, বারাসতে ৬৬, ব্যারাকপুর ও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে ৬০ ও ৩২টি কিউআরটি থাকবে।
ভোটে কোথাও কোনও অশান্তি হলে তা মোকাবিলার জন্য প্রথমে কিউআরটি পাঠানো হয়। একটি কিউআরটি-তে ৮-১২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকেন। বিরোধীদের অভিযোগ, অনেক সময় অভিযোগ জানানোর পরেও কিউআরটি পৌঁছয় না। এর ফলে ছাপ্পা, বুথদখল ও মারামারির ঘটনা চলতেই থাকে। এর থেকে অশান্তিও বাড়ে। ষষ্ঠ দফার ভোটে কিউআরটি সময়ে না পৌঁছনোয় কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধীদের ওই সব অভিযোগের পরে কিউআরটির সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।
রাজ্যের সিইও দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘প্রতি দফাতেই পর্যাপ্ত কিউআরটি রাখা হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে রাস্তার সমস্যার কারণে কিউআরটির গাড়ি ঢুকতে হয়তো দেরি করেছে। কারণ, একটি কিউআরটির অধীনে বেশ কয়েকটি বুথ থাকে। এই দফায় ওই সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়ায় একটি কিউআরটির অধীনে বুথের সংখ্যাও কমে গিয়েছে। ফলে অভিযোগ আসার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে তারা পৌঁছতে পারবে। অশান্তির খবর পাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবে কিউআরটি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy