E-Paper

ফের পরীক্ষার দিন বদলের দাবি, বিক্ষোভ

এ দিন পরীক্ষা নিয়ামকের দেখা না পেয়ে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এক কর্মী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

নিজস্ব সংববাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৪ ০৮:০৬
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

ফের পরীক্ষা পিছোনোর দাবি তুললেন আইন বিভাগের পড়ুয়াদের একাংশ। সোমবার দুপুরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজবাটী ক্যাম্পাসে আইন বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত আইন পাঠ্যক্রম রয়েছে এমন কলেজগুলির পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখান।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রথমে চলতি মাসের ২০ তারিখ আইন বিভাগের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে হঠাৎ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সিলেবাস শেষ হয়নি। সিলেবাস শেষ না করে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই পরীক্ষার দিন নিয়ে আপত্তি তোলায়, তা পিছিয়ে এপ্রিলে নিয়ে যাওয়া হয়। এপ্রিল মাসের দিন নিয়েও আপত্তি তোলেন পড়ুয়ারা। সোমবার এপ্রিলের পরীক্ষার তারিখও পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, পরীক্ষা হোক লোকসভা ভোটের পরে। তাঁদের যুক্তি, ওই সময়ে পরীক্ষা হলে পড়ুয়াদের আসা-যাওয়ার সমস্যা হবে। এই সময়ে বাইরে থেকে যাঁরা এসে বর্ধমানে পরীক্ষা দেবেন, তাঁদের ঘর পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। এই সব দিক মাথায় রেখে এবং সম্পূর্ণ সিলেবাস শেষ করেই পরীক্ষা নেওয়ার আবেদন করেন তাঁরা।

এ দিন পরীক্ষা নিয়ামকের দেখা না পেয়ে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এক কর্মী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পড়ুয়াদের পক্ষে বিদিশা বিশ্বাস, বিতান আচার্যদের অভিযোগ, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও নিয়ম মানছেন না। আইন পড়ানো হয়, এই ধরনের সব কলেজ বার অ্যাসোসিয়েশন অনুমোদিত। কিন্তু কোনও কলেজেই সংগঠনের যে নির্দেশ, তা মানা হয় না। উল্টে, সিলেবাস শেষ না করে ভোটের মধ্যে পড়ুয়াদের কথা না ভেবেই পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা হল।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক অনিন্দ্যজ্যোতি পালের দাবি, “দু’সপ্তাহ আগে ওই পড়ুয়ারা স্মারকলিপি দেয়। গত সপ্তাহে উপাচার্য-সহ কলেজের অধ্যক্ষ, ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে ঠিক হয়, ৩ এবং ৫ বছরের এলএলবি কোর্সের পরীক্ষা ২ এবং ৩ এপ্রিল হবে। সেই সিদ্ধান্ত পড়ুয়াদের জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, ফের এ দিন তারা পরীক্ষা পিছনোর জন্য বিক্ষোভ দেখায়।” তাঁর সংযোজন, “আমরা ভোটের আগেই নিয়ম মেনে পরীক্ষা শেষ করতে চাই। তাই এই সিদ্ধান্ত।” পড়ুয়াদের বাকি অভিযোগগুলি অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Law Student

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy