E-Paper

কারা কেন নিষ্ক্রিয়, মেদিনীপুরে খোঁজ বক্সীর

বিধানসভা ধরে ধরে বৈঠক হয়েছে। বক্সীর সঙ্গে ছিলেন দলের রাজ্য সহ-সভাপতিজয়প্রকাশ মজুমদার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:৩৯
তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।

তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।

গতবার মেদিনীপুর লোকসভায় তৃণমূল হেরেছিল বিজেপির কাছে। এ বার এই আসনটি জিততেই হবে। মেদিনীপুরে দলের বৈঠকে সাফ জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। দলের এক সূত্রে খবর, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, স্থানীয়স্তরে দলে ঝগড়া থাকলে মেটাতে হবে। দলে যাঁরা নিষ্ক্রিয়, তাঁদের সক্রিয় করতে হবে।

কোথায়, কারা, কেন নিষ্ক্রিয়, সে খোঁজখবরও নিয়েছেন বক্সী। ওই সূত্রে খবর, এমন একাধিকজনের সঙ্গে তিনি নিজেও কথা বলতে পারেন কলকাতায় ডেকে পাঠিয়ে। মান-অভিমান ভুলে দলের প্রচারে তাঁদের শামিল হওয়ার নির্দেশ দিতেপারেন তিনি।

বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে এসেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। মেদিনীপুর লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভা এলাকাগুলির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন লের জেলা কার্যালয়ে।

বিধানসভা ধরে ধরে বৈঠক হয়েছে। বক্সীর সঙ্গে ছিলেন দলের রাজ্য সহ-সভাপতিজয়প্রকাশ মজুমদার। বৈঠকে ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোত ঘোষ, আশিস চক্রবর্তী, জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা, জেলা চেয়ারম্যান দীনেন রায় প্রমুখ। বক্সী যখন মেদিনীপুরে, তখন ঝাড়গ্রামে দলের বৈঠকে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শালবনি এবং গড়বেতা— এই জেলার দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র ঝাড়গ্রাম লোকসভার অন্তর্গত। সেই সূত্রে অভিষেকের বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন দীনেন, সুজয়রা। সেখান থেকে ফিরে তাঁরা বক্সীর বৈঠকে যোগদান করেছেন।

কী নিয়ে কথা হয়েছে? প্রদ্যোত বলেন, ‘‘সামনে ভোট। দলীয় বিষয় নিয়েই কথা হয়েছে। বক্সীদা প্রয়োজনীয় নির্দেশ এবং পরামর্শ দিয়েছেন।’’ তৃণমূলের অন্দরে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেই আবহে এই বৈঠক। লোকসভা নির্বাচনে দলের ভোটব্যাঙ্ক যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, তা নিশ্চিত করতেই হবে, বুঝিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। জেলার একাংশ নেতার মতে, মেদিনীপুরে গোষ্ঠীকোন্দল যে মাত্রায় পৌঁছেছে, তার মোকাবিলায় বক্সীর মতো ‘কড়া’ অভিভাবকেরই দরকার ছিল।

দলের এক সূত্রে খবর, বৈঠকে একাধিক নেতাকে বক্সী এমনও বার্তা দিয়েছেন যে, এ বার থেকে তাঁদের কোনও অভাব-অভিযোগ বা কিছু বলার থাকলে তা যেন তাঁকেই তাঁরা বলেন। স্থানীয়স্তরে ঝগড়া না করেন। বক্সী প্রবীণ এবং ভীষণই অভিজ্ঞ রাজনীতিক। ২৫ বছর ধরে দলের নানা উত্থান- পতন দেখেছেন তিনি।

মেদিনীপুরে দলের কাজকর্মের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগও অনেক দিনের। জেলার এক নেতার মতে, ‘‘মেদিনীপুরে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব সামলানোর জন্য উনিই উপযুক্ত।’’

মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল গোষ্ঠীকোন্দলে জীর্ণ। বিধায়ক তথা দলীয় প্রার্থী জুন মালিয়ার সঙ্গে দলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার সম্পর্ক শীতল।

অবশ্য দিন কয়েক আগে সুজয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন জুন। সেখানে চায়ের আড্ডায় দু’জনের বেশ খানিকক্ষণ কথা হয়েছে। দলের এক সূত্রে খবর, সপ্তাহ দুয়েক পরে খড়্গপুরে আসতে পারেন বক্সী। রেলশহরে এসে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করতে পারেন তিনি।

নতুন-পুরনোর দ্বন্দ্ব ভোটের আগে মিটবে? তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোতের জবাব, ‘‘কোনও দ্বন্দ্বই নেই। যারা তৃণমূলের মধ্যে নতুন- পুরনোর বিভাজন দেখছেন, তারা আসলে নিজেদের সময় নষ্ট করছেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 TMC subrata baksi midnapore

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy