কেউ ওবিস বা স্থূল কিনা তা বোঝার সহজ কোনও মানুষের বডি মাস ইন্ডেক্স বা বিএমআই। এই অনুপাত হিসাব করা হয় ওজন ও উচ্চতা্র মাপ দিয়ে। বিএমআই ২৫ থেকে ২৯.৯-এর মধ্যে থাকলে ওভারওয়েট ধরা হয়, আর ৩০ এর উপরে হলে ওবেসিটি ধরা হয়।

কম ঘুম হওয়ার থেকে মানুষের স্ট্রেস বাড়তে পারে। স্ট্রেস বাড়লে শরীরচর্চা কমে যায় অনেক অংশে, পুষ্টিকর খাবারের খিদে কমে যায় এবং মুখোরোচক অস্বাস্থ্যকর খাবারের খিদে তুলনায় অনেক বেড়ে যায়। স্ট্রেস থেকে মানুষ নিজের শরীরে খিদের চাহিদা বা শরীরচর্চার ইচ্ছে জাতীয় কাজগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, এর থেকেই ওবেসিটি এক ধাক্কায় বেড়ে যায় অনেকটা।

মরবিড ওবেসিটি হল যখন কোনও মানুষের বিএমআই থাকে ৪০ কিংবা তার চেয়েও বেশি। মানসিক, জিনগত বা নানা ধরনের শারীরবৃত্তীয় সমস্যার জন্য মরবিড ওবেসিটি হতে পারে কোনও মানুষের।

দিনে একবার মিল রিপ্লেস্মেন্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকলে দিনে একবার নেওয়া যায় এবং আংশিক মিল রিপ্লেস্মেন্ট প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে দিনে দু’বার খাওয়া যায়।

মনের মতো ফল পেতে অন্তত ১৬ সপ্তাহ ভিডাস্লিম নিয়মিত খাওয়া জরুরি । অবশ্যই করে ভিডাস্লিম খাওয়া শুরু আগে এই বিষয়ে ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

ভিডাস্লিমের উপাদানগুলি থেকে কোনও রকম পার্শ্বপ্রিতিক্রিয়া হয় না, এমনটাই বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জানা গিয়েছে। গবেষণায় প্রমাণিত যে, ভিডাস্লিমের উপকরণগুলি খাওয়ার জন্য নিরাপদ। প্রথম এক-দু’দিনের মধ্যেই মলত্ত্যাগ করার ক্ষেত্রে কিছু বদল লক্ষ করা যায়, যা মূলত ভিডাস্লিমে থাকা প্রচুর ফাইবার থেকে হওয়া স্বাভাবিক ও উপকারী।

ভিডাস্লিম ডায়েটিশিয়ান পরামর্শ অনুযায়ীই খাওয়া উচিত। এবং কোনও ভাবেই ১৮ বছরের নীচে থাকা কোনও ব্যক্তির জন্য ভিডাস্লিম খাওয়া উপযুক্ত নয়।

ওবেসিটির সঙ্গে বেশ কিছু ধরনের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা জড়িয়ে থাকে। শুধু এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার বা জরায়ুর ক্যানসারই নয়, পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই স্তন ক্যান্সার, ইসোফেগাল ক্যান্সার, পাকস্থলীর ক্যান্সার, যকৃতের ক্যান্সার( ফ্যাটি লিভার থেকে হতে পারে), অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার, কিডনির ক্যান্সার, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার ইত্যাদি বহু রকমের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মিল রিপ্লেস্মেন্ট হোল এক ধরনের খাবারের সাপ্লিমেন্ট, যা থেকে ২০০-৩০০ ক্যালোরির সমান শক্তি পাওয়া যায়। দিনের যে কোনও একটি ভারী খাবারের সময় এই সাপ্লিমেন্ট নিলে তা অতিরিক্ত ক্যালোরি নেওয়াতেও বাধা তৈরি করে, বরং প্রতিদিনের জন্য দরকারি ভিটামিন এবং মিনারেলের অনুপাতও শরীরে সমান ভাবে থাকে।

ভিডাস্লিমে রয়েছে- গ্রিন টি নির্যাস, সাদা রাজমার নির্যাস, প্রোটিনের মিশ্রণ, এল-কার্নিটিন এবং ডায়েট উপযোগী ফাইবার।যা থেকে খুব সহজে শক্তি পাওয়া যায়, খিদে মিটে গেলে তৃপ্তি আসে এবং রোজকার ক্যালোরি নেওয়া অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত ভাবে থাকে। এর ফলে শরীরে পেশির জোর বাড়ে ও মেদ ঝরে ওজন কমানো সম্ভব হয়।

হ্যাঁ, ভিডাস্লিম পাস্তুরিত দুধ বা ডবল টোন্ড দুধ দুইয়ের সঙ্গেই ঠাণ্ডা বা গরম যেমন ইচ্ছা খাওয়া যায়।