বছর মহাতীর্থমের ঐতিহ্যের ১৯ তম বর্ষ। ২০০৫ সাল থেকে এই পুজোর শুরু। মাদুরদহ অঞ্চলে গুটিকয় পরিবারের বাস। পরিকাঠামো অনুন্নত। কিন্তু তাতে কি মায়ের আসা ঠেকানো যায়? মা এলেন মহাতীর্থম সিটিজেন্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটিতে। অঞ্চলের মহিলা সদস্যা দের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মায়ের পুজো হল ভাল ভাবেই। সকলের পাত পড়ল এক সঙ্গে। এ ভাবেই শুরু মহাতীর্থমের পুজো।
থিমের অধিক্যের মধ্যে মহাতীর্থম সিটিজেন্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি এখনো ঘরোয়া সাবেকি প্রথায় পুজো আয়োজনে বিশ্বাসী। সোসাইটির মহিলা সদস্যারাই দৈনিক পুজার প্রধান ভার সামলান। পুজোর অনুদানের থেকে কিছু অংশ প্রত্যেক বার উৎসর্গীকৃতি হয় সামাজিক উন্নয়নের উদ্দেশে। এর মধ্যে অনাথ আশ্রমের আবাসিকদের জন্য থাকে বই, খাতা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। এক দিন তাদের জন্য থাকে মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা। হাতে হাত ধরে চলে পুজো এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন।
আগমনী ও বিজয়া সম্মিলনীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সোসাইটির কচি কাঁচা থেকে বয়স্করা। সাবেকি প্রতিমা ঘরোয়া পরিবেশে পান নিত্য পুজা।
পুজোর সম্পাদক সুকান্ত দাস বললেন, ‘‘আমরা এখনও সাবেকি পুজোর ঐতিহ্য ধরে রেখেছি। তা ছাড়াও এই বছর প্রথম আমরা পুজোয় একটি বিশেষ কাজ করতে চলেছি। পুজো মণ্ডপের সামনে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ মিটার দীর্ঘ রাস্তা ধরে আলপনা দেওয়া হবে। বাঙালি ঘরানা অনুযায়ী শুভ রং লাল, হলুদ এবং সাদা এই তিনটি রঙের মিশ্রণে আলপনা দেওয়া হবে।’’
কী ভাবে যাবেন- কালিকাপুর মোড় থেকে আনন্দপুর থানার দিকে এগোলে ডানদিকের দ্বিতীয় গলি।
প্রতিমা শিল্পী- ঝন্টু রুদ্রপাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy