Advertisement
Durga Puja Celebration

ছাত্র, ছাত্রীদের নিয়ে এক শিক্ষকমশাই যে পুজোর জন্য দিনরাত প্রাণপ্রাত করছেন

গ্রে স্ট্রিট সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির এই পুজোর প্যান্ডেলকে সাজিয়ে গুছিয়ে তুলছে আর্ট কলেজের প্রধান। সঙ্গে তাঁর ছাত্র ও ছাত্রীরা।

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৫৪
Share: Save:

শোভাবাজার আর হাতিবাগানের মধ্যবর্তী অঞ্চলের গলি-পাড়াগুলোয় বরাবরই মহিলাদের দাপট বেশি। মানে, পাড়া কালচারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি সক্রিয়। পাড়ার পুজোটুজোর ব্যাপারেও খানিকটা তাই। আর গ্রে স্ট্রিট সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এমনই যে, পাড়ার বয়স্কা মহিলারাও রীতিমতো সক্রিয় অংশ নেন পুজোর সংগঠনে।

এঁদের এবারের দুর্গাপুজোর কোনও থিম নেই। সাবেকি পুজো। পুজোর বয়েসও তো নেহাত কম নয়! ৭৮তম বছর। আবার সত্যি সত্যিই কি একদম কোনও থিম নেই এঁদের পুজোর?

গ্রে স্ট্রিট সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সাধারণ সচিব রাজা চক্রবর্তী জানালেন, তাঁদের পুজোর থিম যদি কিছু থাকে, সেটা হচ্ছে, সাজিয়ে-গুছিয়ে পুজো করা।

এঁদের ঠাকুর গড়ছেন বৈষ্ণবঘাটা-পাটুলির প্রতিমা শিল্পী প্রশান্ত পাল। শুধু তাই-ই নয়, এক চালার প্রতিমা সম্পূর্ণ একশো ভাগ মাটির। মৃন্ময়ী মায়ের পরণের শাড়ি, গয়না এমনকি মাথার চুলও মাটির নির্মিত। লক্ষ্মী-সরস্বতী, গণেশ-কার্তিকও তাই। এর আগে কোনও বছর এ রকম না হলেও, এবার মূলত প্রতিমা শিল্পীর ভাবনা এ রকম দুর্গা মূর্তির। এর চেয়েও অবশ্য তাৎপর্যের, এঁদের পুজোর মন্ডপ সজ্জার অন্তরাল কাহিনির! ‘কলাভূমি’ নামের এক সংস্থা, মূলতঃ যেটি নাগেরবাজারের একটি আর্ট স্কুল, তার প্রধান, শিল্পী পার্থ সামন্ত এই পুজোর প্যান্ডেলকে সাজিয়ে গুছিয়ে তুলছেন। পুজো কমিটির সাধারণ সচিবের কথায়, ‘কলাভূমি’র প্রতিষ্ঠাতা শিল্পীকে পুজো প্যান্ডেলে উদয়-অস্ত সাহায্য করে চলেছেন পার্থ সামন্তের চার তরুণী আর্টিস্ট ছাত্রী।

জানা গেল, বছর সাতাশ-আঠাশের চার মহিলা কলাশিল্পীই আর্থিক ভাবে সত্যিকারের দুঃস্থ। এঁদের মধ্যে একজন পথ দুর্ঘটনায় বাবা-মা, দুজনকেই চির তরে হারিয়ে ছিলেন। মামার বাড়িতে থেকে ‘কলাভূমি’ তে অনেক কষ্ট করে নিজের স্বপ্নকে সত্যি করে তোলার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এই দুর্গোৎসব কমিটির সাধারণ সচিব জানাচ্ছেন, এঁরা অর্থনৈতিক ভাবে দুঃস্থ হলেও এই বয়সী মহিলাদের পক্ষে সরাসরি সাহায্যের হাত পাতাও অসম্ভব। সেটা বুঝেই এভাবে যতটুকু সম্ভব আর্থিক ভাবে ওই চার তরুণী আর্টিস্টের পাশে দাঁড়িয়েছে এই পুজো কমিটি।

বলাই বাহুল্য, যার পিছনে অতি অবশ্যই মদত আছে পাড়ার সক্রিয় বয়স্কাদের।

কী ভাবে যাবেন : শোভাবাজার মেট্রো স্টেশন এবং হাতিবাগান সংযোগকারী অরবিন্দ সরণি-র মাঝামাঝি, বিশ্বনাথ আয়ুর্বেদ হাসপাতালের ঠিক বিপরীতে এই পুজো।

প্রতিমা শিল্পী : প্রশান্ত পাল

মন্ডপ : কলাভূমি

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja Pandal Durga Puja 2023
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE