‘বিশ্বাসের ভাইরাস’-এর প্রকাশক জাগৃতি প্রকাশনীর প্রধান ফয়সল আরেফিন দীপন।—ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে প্রকাশক খুনে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়ের বই ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’-এর প্রকাশক জাগৃতি প্রকাশনীর প্রধান ফয়সল আরেফিন দীপনকে জঙ্গিরা কুপিয়ে হত্যা করেছিল। ওই হত্যাকাণ্ডেরর মূল অভিযুক্ত সিফাত ওরফে শামিম ওরফে মইনুল ইসলামকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টঙ্গি থেকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। বাংলাদেশের ব্লগার, প্রগতিশীল লেখক ও প্রকাশক হত্যায় জড়িত যে ছয় জনকে চিহ্নিত করে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে সিফাতও ছিল।
ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশের ডেপুটি-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বুধবার বলেন, ‘‘টঙ্গি এলাকায় এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে সিফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জেরাতেই দীপন-হত্যায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে সিফাত।
পড়ুন সেই দিনের খবর
ঢাকায় খুন প্রকাশক, দায় নিল জঙ্গিরা
২০১৫-র ৩১ অক্টোবর বিকালে ঢাকার শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের তিন তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিনে অভিজিৎ রায়ের বইয়ের আর এক প্রকাশক আহমেদুর রশিদ চৌধুরী টুটুল-সহ তিন জনকে কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে সন্ত্রাসবাদীরা। তাঁদের উপর শুদ্ধস্বরের অফিসে হামলা চালানো হয়েছিল। তিন জনেই গুরুতর জখম হয়েছিলেন।
২০১৫-র ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সন্ত্রাসীদের চাপাতির কোপে নিহত হন বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়। মারাত্মক ভাবে জখম হন তাঁর স্ত্রী রাফিদা বন্যা। এর পর থেকে বাংলাদেশে ধারাবাহিক ভাবে অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ওয়াশিকুর রহমান বাবু, ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নীলয়, ফয়সল আরেফিন দীপন ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদকে খুন করা হয়। এর আগে ২০১৩-র ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগে গণজাগরণ আন্দোলন শুরুর কয়েক দিনের মাথায় কুপিয়ে খুন করা হয়েছিলেন ব্লগার রাজীব হায়দারকে। একই সঙ্গে পুরোহিত, যাজক, পির, বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনাও ঘটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy