প্রকল্প বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
রামপাল প্রকল্প বাতিল না করলে ২৬ জানুয়ারি আধবেলা ঢাকা বনধের হুমকি দিয়েছে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ রক্ষা জাতীয় কমিটি। এ জন্য তারা সরকারকে ২৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত সময় সীমা বেঁধে দিয়েছে। আর তা না হলে ২৬ জানুয়ারি ঢাকার প্রত্যেককে আধবেলা ব্যক্তিগত গাড়ি, কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
‘গ্লোবাল প্রোটেস্ট ডে ফর সুন্দরবন’ উপলক্ষে শনিবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে ‘সর্বপ্রাণ সাংস্কৃতিক শক্তি’আয়োজিত এক সমাবেশে এই ঘোষণা করেন কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, “ভয় দেখানো না হলে, দমন-পীড়ন না থাকলে, হয়রানি করা না হলে দেশের শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল প্রকল্পের বিরুদ্ধে মত দেবে। এই ৯৯ শতাংশ মানুষের মতের সঙ্গে ভারত-সহ সারা বিশ্বের মানুষের মত যুক্ত আছে।”
আরও পড়ুন: ‘জঙ্গিতে হল না বলে বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাগড়া দিচ্ছেন খালেদা’
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বব্যাপী লুটেরা, কোটিপতি কিংবা মুনাফাখোর, কমিশন-ভোগীরা এক দিকে। তাদের বিরুদ্ধে মানুষের ঐক্যের দৃষ্টান্ত হিসেবে ৭ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ দিবস পালন করা হয়। এর অংশ হিসেবে আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে কলকাতা ও নয়াদিল্লি, লন্ডন, নিউইয়র্ক, মেলবোর্ন, প্যারিস-সহ জার্মানি, ইতালি এবং উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন শহরে সুন্দরবন বিনাশী এই কর্মসূচি পালন করছে। এই পৃথিবী কোনও রাষ্ট্রীয় সীমানা দ্বারা ভাগ করা যায় না। এর এক প্রান্তের বাতাস দূষিত হলে, নদীদূষণ হলে, বন উজাড় হলে অন্য প্রান্তের মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়। এ জন্য বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে উন্নয়নের নামে, জিডিপি বৃদ্ধির নামে প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ ধ্বংস হলে তার বিরুদ্ধে মানুষকে দাঁড়াতে হবে।”
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশি কবীর, শিল্পী কফিল আহমেদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় নেতা রুহীন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy