শীতল পাটি বোনা। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের শীতলপাটি বয়ন পদ্ধতিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দিল ইউনেস্কো। রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক এই সংস্থা বুধবার তাদের ওয়েবসাইটে এ কথা ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশের লোক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন এই শীতলপাটি। সব চেয়ে সূক্ষ্ম নকশাদার পাটি বোনা হয় বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে। দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বুধবার বাংলাদেশের শীতলপাটিকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’-এর স্বীকৃতি দেওয়া পরে সিলেটের দুই প্রসিদ্ধ পাটিয়াল গীতেশচন্দ্র দাস ও হরেন্দ্রকুমার দাস তাঁদের হাতে বোনা
কয়েকটি পাটি নানা দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের দেখান। এর আগে বাংলাদেশের বাউল গান, নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা ও জামদানি শাড়িকেও এই স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।
প্লাস্টিকের সস্তা মাদুর ঐতিহ্যশালী এই শীতলপাটির বাজার অনেকটা কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক বেত থেকে তৈরি হওয়ায় এই শীতলপাটি অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। বরিশাল ও চট্টগ্রামের নানা জায়গায় এই বেত জন্মালেও নকশাদার পাটি বোনা হয় মূলত সিলেটের শ’খানেক গ্রামে। নোয়াখালি, পাবনা ও সিরাজগঞ্জেও বেশ কিছু পাটিয়াল রয়েছেন। বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে শীতলপাটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়টি ঘোষণা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy