বাংলাদেশের প্রখ্যাত ভাস্কর এবং মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসরদের হাতে নির্যাতিত ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিল বাংলাদেশের সরকার। স্বাধীনতার প্রায় সাড়ে চার দশক পর তিনি তাঁর প্রাপ্য সম্মান পেলেন। আরও ১২৩ বীরাঙ্গনাকেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে মোট ২১৩ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে এই খবর দিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ।
এর আগে গত ২৯ মে ২৩ জনকে, ১৪ মার্চ ২৬ জনকে এবং ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর ৪১ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয় সরকার। তিন দফার কোনওটিতেই নিজের নাম না থাকায় ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন ভাস্কর ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী। অবশেষে বীরাঙ্গনাদের চতুর্থ দফার তালিকায় ফেরদৌসির নাম উঠল।
ফেরদৌসি একাত্তরের ঘাতক দালাল যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। এখনও তিনি নানান সামাজিক রাজনৈতিক ইস্যুতে স্পষ্টবক্তা। ন’য়ের দশকের শুরুতে যখন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমের প্রতীকী বিচার করেছিল সোরওয়ার্দি উদ্যানে স্থাপিত গণ আদালত, সেই সময়েও সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি।
ভাস্কর ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ঘোষনার কথা শুনে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নিরমূল কমিটি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবীর আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেন, এই ঘোষনায় একই সাথে তিনি আনন্দিত ও ক্ষুব্ধ। আনন্দিত, কারণ অবশেষে ফেরদৌসি তার প্রাপ্য সম্মান পেলেন। ক্ষুব্ধ, কারণ এই সম্মানটি পেতে এতটা সময় লেগে গেল।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসের তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন ডিসেম্বরেই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy