বৃহস্পতিকে বলা হয় সৌভাগ্যের গ্রহ
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, গ্রহের স্থিতি এবং গতি আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে। কোন গ্রহ কোন ব্যক্তির জীবনে কেমন প্রভাব বিস্তার করবে তা, জাতক/জাতিকার জন্মছকে সেই গ্রহের অবস্থানগত পরিস্থিতির মাধ্যমে জানা সম্ভব। গ্রহের অবস্থান আমাদের পক্ষে শুভকর হলে, ভালো ফল পাওয়া যায়, আবার জন্মছকে দুর্বল বা অশুভ গ্রহ আমাদের নেতিবাচক ফল প্রদান করে থাকে। গত বেশ কয়েকটি পর্ব ধরে আমি গ্রহদের অবস্থানজনিত প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করছি। আপনাদের জানাচ্ছি জন্মছকে কোন গ্রহের অবস্থান কেমন হলে কী কী প্রভাব পড়ে এবং কোনও গ্রহের অশুভত্ব বা শুভত্বের লক্ষণগুলি কী। গত পর্বে বৃহস্পতি সম্পর্কিত বেশ কিছু সূত্র আপনাদের জানিয়েছিলাম। পরবর্তী অংশ এই পর্বে।
বৃহস্পতিকে বলা হয় সৌভাগ্যের গ্রহ, সাফল্যের সিঁড়ি বলা হয় বৃহস্পতিকে। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তির জন্মছকে বৃহস্পতি ইতিবাচক পরিস্থিতিতে থাকলে সেই ব্যক্তি ভাগ্যবান হন। বৃহস্পতির শুভ প্রভাব জাতকের ব্যক্তিত্বকে সুন্দর, আকর্ষণীয় করে তোলে। এমন জাতক উচ্চশিক্ষিত, জ্ঞানী ও উদার মনোভবের হয়। বৃহস্পতি ব্যক্তির জন্মছকে শুভ স্থিতিতে থাকলে সেই ব্যক্তির উপর গুরুস্থানীয় ব্যক্তির আশীর্বাদ থাকে, জাতক শিক্ষাদীক্ষায় শীর্ষ স্থান অধিকার করে থাকেন। এমন জাতকের জীবনে কখনও সাংঘাতিক বড় কোনও বিপর্যয় বা ভাগ্য বিড়ম্বনা সাধারণত ঘটে না। আশাবাদী ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী হন সেই ব্যক্তি। পাশাপাশি জন্মছকে বৃহস্পতির পরিস্থিতি শুভ হলে সেই জাতক সৎ ও জ্ঞানী হন। আবার বৃহস্পতি ইতিবাচক হলে ব্যক্তি শিক্ষা বিভাগে অথবা কোনও ক্ষেত্রে পরামর্শদাতা(consultant) রূপে কর্মরত থাকে। পাশাপাশি এমন জাতক ভালো জ্যোতিষী হতে পারেন। অন্য দিকে কোনও জাতকের জন্মছকে বৃহস্পতি অশুভ পরিস্থিতিতে থাকলে তাকে একাধিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়। শরীর স্থূল হয়, শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, বিবাহে বাধা উৎপন্ন হয়। আবার বৃহস্পতি অশুভ পরিস্থিতিতে থাকলে ব্যক্তির কোনও দীর্ঘমেয়াদী রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জন্মছকে বৃহস্পতির কোন কোন অবস্থান শুভ? জন্মছকে চন্দ্রের সাপেক্ষে তৃতীয়, পঞ্চম, নবম এবং একাদশ ঘরে বৃহস্পতি থাকলে, এবং বৃহস্পতির পরে রবির অবস্থান হলে, দেবগুরু শুভ ফল প্রদান করেন। আবার জন্মছকে বৃহস্পতি-মঙ্গল যদি দৃষ্টি বিনিময় করে বৃহস্পতি ইতিবাচক ফল প্রদান করে। কোনও ব্যক্তির লগ্নের সাপেক্ষে পঞ্চম বা নবম ঘরে বৃহস্পতি শুভ নক্ষত্রে বসে থাকলে তা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
যদি নিজের জন্মছক জানা না থাকে, তাহলেও আপনার জীবনে দেবগুরুর শুভ ফল পাচ্ছেন কি না, তা বুঝে নিতে পারেন বেশ কিছু লক্ষণ থেকে। যেমন, যে ব্যক্তি পেটে কথা চেপে রাখতে পারেন না, গোপন কথা প্রকাশ করে ফেলেন, সামান্য ঘটনার প্রেক্ষিতে তৎক্ষনাৎ ক্ষেপে যান, রেগে ওঠেন। যিনি দাদুর সুখ পাননি বা কম পেয়েছেন তার জন্মছকে বৃহস্পতি খারাপ। যারা এঁড়ে তর্ক করেন, কোনও দার্শনিক বা যৌক্তিক কারণ ছাড়াই ক্রমাগত বাকবিতণ্ডা চালিয়ে যান, এককথায় কু-তার্কিক যারা, যিনি মানুষকে সন্তুষ্ট করার পরিবর্তে অসন্তোষ বা বিরক্তির উদ্রেক করেন তার বৃহস্পতি শুভ নয়। কঠিন পরিস্থিতিতে যিনি ভরসাকারী নন, অনুপযুক্ত/দুর্বল, যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে যা সিদ্ধান্ত নেন প্রায় সবটাই ভুল সিদ্ধান্ত হয়, উচ্চ অহংযুক্ত বা তীব্র অহংকারী, আর্থিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, প্রচুর খরচ হয়ে যায়.... বুঝতে হবে তার বৃহস্পতি খারাপ।
আবার অন্যদিকে যিনি উদ্ভাবনক্ষমতাযুক্ত এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারেন.... বৃথা তর্ক করা চেষ্টা করেন না, নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য বা অন্যের স্বপ্ন সফল করতে ধৈর্য ধারণ করতে পারেন, অন্যের জন্য সমৃদ্ধি আনতে পারেন ধরে নিতে হবে তার জন্মছকে বৃহস্পতি শুভ-শক্তিশালী। যিনি ব্যবহারে সহানুভূতিশীল, আচরণে দানশীল, অন্তরে ক্ষমাশীল... তার জন্মছকে বৃহস্পতির সু-প্রভাব রয়েছে। মানুষ যাদের সৌভাগ্যশালী বলেন জানবেন, তাদের সেই সৌভাগ্যের কারণ বৃহস্পতির শুভত্ব। এছাড়াও জন্মতারিখ দেখেও বোঝা যায় কোনও ব্যক্তির বৃহস্পতির প্রভাবে ধনশালী হতে পারবেন কি না। যাদের সম্পূর্ণ জন্মতারিখে ৩, ৫, ৮, ৭, ৬ এই সংখ্যাগুলি থাকে, তারা বৃহস্পতির শুভ প্রভাবে বিশেষ ধনশালী হতে পারেন।
বৃহস্পতির মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ-প্রভাবশালী একটি গ্রহ জন্মছকে অশুভ অবস্থানে থাকলে নানাবিধ সমস্যা ঝঞ্ঝাট পেতে হয়। আগেও সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। পরিত্রাণের উপায়? জন্মছকে বৃহস্পতির অশুভভাব থাকলে দক্ষিণ ভারতের "আলানগুড়ি গুরু" মন্দিরে, যাজকের পরামর্শ মেনে যথোপযুক্ত "অভিষেকম" এবং যজ্ঞ ক্রিয়াদি ধর্মানুষ্ঠান পালন করলে এবং নিয়মিত "শিব সহস্রনাম স্তোত্রম" পাঠ করলে পরিত্রাণ সম্ভব। এছাড়াও আপনাদের সাহায্যার্থে Symbol Meditation(প্রয়োজনে নির্দিষ্ট মুদ্রা সহযোগে) রয়েছে।
Guided Symbol Meditation এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable)।
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy