গত সেপ্টেম্বরে দেশের পরিকাঠামো ক্ষেত্র বেড়েছে ১.৯% হারে। যা গত আট মাসের মধ্যে সব থেকে মন্থর। এর আগের বছর ওই একই মাসে পরিকাঠামোয় বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছিল ৯ শতাংশে। কেন্দ্র প্রকাশিত পরিসংখ্যান জানিয়েছে, অশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল শোধন ও সার উৎপাদন কমে যাওয়াই এর কারণ। এর আগে এই হারকে গত জানুয়ারিতে এতখানি (১.৬%) নামতে দেখা গিয়েছিল।
স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টি নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে শিল্পমহলকে। কারণ এই মুহূর্তে দেশের অর্থনীতিতে ভাল কিছু হওয়ার প্রত্যাশাতেই দিন গুনছে তারা। তার উপর গত অগস্টেই পরিকাঠামো বৃদ্ধি ৫.৮ শতাংশে দাঁড়ানোয় অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হল বলে মনে হয়েছিল সকলেরই। কিন্তু এ বার তার গত জুলাইয়ের (২.৭%) থেকেও নীচে নেমে যাওয়া নতুন করে দুশ্চিন্তার জন্ম দিল বলেই মনে করছে অনেকে। সে ক্ষেত্রে সকলেরই দাবি, অর্থনীতির স্বার্থে এখন অত্যন্ত দ্রুত পরিকাঠামো উন্নয়নের পথে এগোনো জরুরি। না-হলে ভুগবে শিল্পোৎপাদনও। কারণ শিল্প উৎপাদন সূচকে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের অবদান প্রায় ৩৮%। ফলে শেষ পর্যন্ত এই সব কিছুর প্রতিফলন ঘটবে আর্থিক বৃদ্ধিতে।
প্রসঙ্গত, মোট আটটি ক্ষেত্র নিয়ে তৈরি হয় দেশের পরিকাঠামো। এগুলি হল, অশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল শোধন ক্ষেত্র, ইস্পাত, কয়লা, সার, সিমেন্ট ও বিদ্যুৎ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বার অশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল শোধন ক্ষেত্র ও সার, এই চারটি ক্ষেত্রে উৎপাদন এ বার সরাসরি কমে গিয়েছে যথাক্রমে ১.১%, ৬.২%, ২.৫%, ১১.৬%। এমনকী ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে যে ক্ষেত্রগুলিতে চোখে পড়ার মতো উৎপাদন বেড়েছিল, সেই কয়লা, সিমেন্ট, ইস্পাত ও বিদ্যুতেও বৃদ্ধি শ্লথ হয়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৭.২%, ৩.২%, ৪% ও ৩.৮%। আগের বছর একই সময় কয়লা বেড়েছিল ১৩.৬%, সিমেন্ট ১২.১%, ইস্পাত ১০.৭% ও বিদ্যুৎ ১২.৯% হারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy