প্রথমে ফিও বলেছিল প্রভাব পড়বে শুধু গয়না শিল্পের উপরেই। বাকিরা খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এক মাস পেরিয়ে লেটার অব আন্ডারটেকিং বন্ধের (এলওইউ) সিদ্ধান্তে সব রফতানিকারী সংস্থার উপরেই কিছুটা বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে স্বীকার করে নিল সংশ্লিষ্ট শিল্পের সংগঠনটি। এলওইউ ফের চালুর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কাছে চিঠিও লিখেছে তারা।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে (পিএনবি) নীরব মোদী কাণ্ডের মতো ঘটনা আটকাতে গত মাসে এলওইউ মঞ্জুর করার উপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রাশ টেনেছে লেটার অব কমফর্টের উপরেও। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তের পরে ফিও-র বক্তব্য ছিল, মূলত হিরে এবং গয়না সংস্থাগুলিই এলওইউ ব্যবহার করে। ফলে অন্যান্য রফতানিকারী সংস্থাগুলির উপরে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। কিন্তু সেই অবস্থান থেকে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে, গত এক মাসে সব শিল্পই এতে অল্পবিস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রবিবার মেনে নিলেন সংগঠনটির ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সহায়।
এ দিন তাঁর দাবি, এই সিদ্ধান্তের পরে ইতিমধ্যেই গয়না শিল্পের রফতানি ৩৬% কমেছে। দেখা যাচ্ছে, আগামী দিনে এর প্রভাব পড়তে চলে অন্যান্য শিল্পের উপরেও। বিশেষ করে কর্মসংস্থান যেখানে বেশি হয়, সেই চর্ম ও বস্ত্রশিল্পের রফতানিতেও এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা তাঁর। সহায়ের দাবি, ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি মারফত ঋণ নিলে রফতানিকারীদের ১-৩% বেশি খরচ হয়। সেই খরচ বাড়ায় বিশ্ব বাজারে ভারতীয় রফতানি মার খাচ্ছে।
এই অবস্থায় নতুন করে এলওইউ ব্যবস্থা চালুর আর্জি জানিয়েছে ফিও। বাণিজ্য মন্ত্রকও বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলছে বলে জানান তিনি। সহায়ের মতে, কেন্দ্রের উচিত এ নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ জারি করা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy