বাজেট নিয়ে আলোচনার শুরুতে প্রথম দিনেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে কোম্পানি কর কমানোর দাবি উঠল।
গত ফেব্রুয়ারির বাজেটেই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ঘোষণা করেছিলেন, আগামী চার বছরে কোম্পানি করের হার ধাপে ধাপে ৩০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। আগামী ফেব্রুয়ারির বাজেটেই এক প্রস্ত করের হার কমানো হবে বলে অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর। তার আগে বাজেটের প্রস্তুতি হিসেবে শিল্পমহলের মতামত জানতে বণিকসভাগুলির সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন রাজস্ব সচিব হাসমুখ অধিয়া। সেখানেই দাবি উঠেছে, এই করের হার ৩০ থেকে একেবারে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হোক।
কেন ২৫ শতাংশেও খুশি নয় শিল্পমহল?
বণিকসভার কর্তাদের যুক্তি, শিল্পায়ন বা কারখানা তৈরির জন্য যে-সব করছাড় বা উৎসাহ ভাতা দেওয়া হত, সেগুলি তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র। সেই কারণেই কোম্পানি করের হার আরও কমানো দরকার।
এ বছর বাজেটের প্রস্তুতি অনেক আগেভাগেই শুরু করে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। নরেন্দ্র মোদীর আস্থাভাজন, গুজরাত ক্যাডারের আইএএস হাসমুখ অধিয়া রাজস্ব সচিব পদের দায়িত্ব নিয়ে মঙ্গলবার থেকে বণিকসভাগুলির সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন। প্রথম দিন সিআইআই-এর সঙ্গে বৈঠকের পরে আজ ফিকি-র কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। প্রথম দিনেই কোম্পানি করের হার কমানোর দাবি উঠেছে।
এই করের হার এখন ৩০ শতাংশ হলেও সারচার্জ ও শিক্ষা সেস যোগ হয়ে তা প্রায় ৩৪ শতাংশে পৌঁছয়। একই ভাবে তা ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনলেও আদতে ২৯ শতাংশ কর মেটাতে হবে। এরপর বিভিন্ন রকম ছাড় তুলে দিলে আরও বেশি কর মেটাতে হবে।
অর্থ মন্ত্রকের যুক্তি, কোম্পানি করের হার যেহেতু কমানোই হচ্ছে, সেহেতু নানা ধরনের কর ছাড় দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না। তা ছাড়া এই ধরনের করছাড় নিয়ে সরকারের সঙ্গে কর্পোরেট সংস্থাগুলির বিবাদ, মামলা-মোকদ্দমা লেগেই থাকে। কর নীতি আরও সরল করার জন্যই শিল্পমহলের মতামত চাওয়া হচ্ছে। বণিকসভাগুলির পাশাপাশি ইলেকট্রনিক্স, তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ শিল্প, বিদ্যুৎ, সড়ক, আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও রাজস্ব সচিব বৈঠক করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy