খরচ কমাতে প্রতিযোগী সংস্থাগুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে গত বছর মোবাইল পরিষেবার মাসুল বাড়ানোর পথে হেঁটেছিল রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স (আরকম)। বুধবার অনিল অম্বানীর সংস্থাটি ফের মাসুল বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে।
আবার ক্রমশ বাড়তে থাকা ইন্টারনেট পরিষেবার চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে সেই বাজার ধরতে নানা পসরা নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে এয়ারটেল ও টাটা ডোকোমো-র মতো সংস্থা।
সব মিলিয়ে মোবাইল পরিষেবায় ব্যবসা বাড়াতে সংস্থাগুলি এক দিকে যেমন নেট পরিষেবার বাজার বিস্তৃত করার চেষ্টা করছে, তেমনই খরচ কমিয়ে লাভের অঙ্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে ঝুঁকছে মাসুল বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন সুবিধা ছাঁটাইয়ের দিকে।
টুজি স্পেকট্রামের নিলাম জিততে কিছু দিন আগেই চড়া দর হাঁকতে বাধ্য হয়েছে টেলি সংস্থাগুলি। পাশাপাশি বেড়েছে আনুষঙ্গিক খরচও। এ বার সেই বাড়তি খরচের বোঝা সামাল দিতে মাসুল বৃদ্ধির পথেই সংস্থাগুলিকে এগোতে হবে বলে মনে করছিল সংশ্লিষ্ট মহল। টুজি লাইসেন্স দুর্নীতির জেরে বাজারে প্রতিযোগিতা কমে যাওয়ায় তাদের সেই পথ আরও প্রশস্ত হয়। তবে এক লাফে মূল মাসুল বাড়ালে বাজার হারানোর আশঙ্কা থাকে। তাই বিভিন্ন ভাউচারে যে সব ছাড় বা বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়, সেগুলিতেই কাটছাঁট করছে তারা। সম্প্রতি এয়ারটেল, ভোডাফোন সে রকমই কিছু সুবিধা হয় কমিয়েছে বা তার মাসুল বাড়িয়েছে।
আর-কম এ দিন জানিয়েছে, তাদের প্রি-পেড গ্রাহকদের ছাড় দেওয়া হয় এমন ‘প্ল্যান’-এর ক্ষেত্রে মাসুল বাড়বে ২০% পর্যন্ত। পাশাপাশি মূল মাসুল (হেডলাইন ট্যারিফ) সেকেন্ডে ১.৫ পয়সা থেকে বেড়ে হচ্ছে ১.৬ পয়সা। সংস্থাটির সিইও গুরদীপ সিংহ জানান, বাড়তে থাকা খরচ সামলাতে ছাড় ও বাড়তি সুবিধা হ্রাস তাঁদের অন্যতম লক্ষ্য। তাঁর আশা, এ সব পরিকল্পনার ফলে সংস্থাটির মিনিট প্রতি আয় বাড়বে। যা তাঁদের পরিষেবা জোরদার করতে সাহায্য করবে।
আয় বাড়াতে চলতি মাসেই একই কৌশল নিয়েছে এয়ারটেলও। তবে মাসুল বাড়ালেও বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব ঠেকাতে প্রি-পেড গ্রাহকদের জন্য ‘নাইট স্টোর’ নামে সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে সংস্থা। এয়ারটেল থেকে এয়ারটেলে লোকাল-কলে সুবিধার পাশাপাশি ইন্টারনেট পরিষেবাতেও ছাড় বা বাড়তি সুবিধা মিলবে এতে। বিনামূল্যে মিলবে ফেসবুক পরিষেবাও।
ইন্টারনেট পরিষেবাকে হাতিয়ার করে ব্যবসা বাড়াতে চায় টাটা ডোকোমো-ও। সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রি-পেড জিএসএম গ্রাহকেরা ‘স্ট্রেচ রিচার্জ’ পরিষেবায় ১৩৬ টাকায় ৬০ দিনের বাড়তি বৈধতা পাবেন। সংস্থার বক্তব্য, অল্পস্বল্প নেট ব্যবহার করেন, এমন প্রায় ৪০% গ্রাহকের হয় পুরো তথ্য ব্যবহার করা হয়ে ওঠে না কিংবা তাঁদের চড়া মাসুলের পরিষেবা নিতে হয়। তাঁদের ক্ষেত্রে এই স্ট্রেচ পরিষেবা কার্যকর হবে, দাবি সংস্থাটির। ভারতে দ্রুত বাড়ছে মোবাইলে নেট ব্যবহার। তাই এ ভাবেই সেই বাজার ধরতে ঝাঁপাচ্ছে সব সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy