Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

হিন্দমোটর খোলা নিয়ে নীরব কর্তৃপক্ষ

বার্ষিক সভা ও পরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও রাজ্যে তাদের কারখানার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোনও শব্দই খরচ করলেন না হিন্দুস্তান মোটরস কর্তৃপক্ষ। বার্ষিক রিপোর্টে ও পরে বিবৃতিতে যা বললেন, তা কারখানা বন্ধ হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁদের আগের বক্তব্যেরই পুনরুক্তি মাত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:১২
Share: Save:

বার্ষিক সভা ও পরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও রাজ্যে তাদের কারখানার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোনও শব্দই খরচ করলেন না হিন্দুস্তান মোটরস কর্তৃপক্ষ। বার্ষিক রিপোর্টে ও পরে বিবৃতিতে যা বললেন, তা কারখানা বন্ধ হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁদের আগের বক্তব্যেরই পুনরুক্তি মাত্র।

কারখানা খোলার কোনও দিশা না-মিললেও এ দিনই বকেয়া বেতন বাবদ ১০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন কর্মীরা। তাঁদের দাবি, ছ’মাসের বেতন বকেয়া। পুজো বোনাস দেওয়ার কথাও নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে বলে দাবি সংস্থার সিটু নিয়ন্ত্রিত কর্মী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মণীন্দ্র চক্রবর্তীর। যদিও সে সব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে নিরুত্তরই থেকেছে সংস্থা।

গত ২৪ মে থেকে তালা পড়েছে সংস্থার উত্তরপাড়া কারখানায়। এর পর কয়েক দফায় দ্বিপাক্ষিক ও ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এই অবস্থায় এ দিন কলকাতায় বসে সংস্থার ৭২তম বার্ষিক সভা। মাত্র আধ ঘণ্টার সভা শেষে সংস্থার পদস্থ কর্তারা দ্রুত সভাস্থল ছেড়ে চলে যান।

সি কে বিড়লার ইস্তফায় শেয়ার-হোল্ডারদের অনুমোদন দেওয়া নিয়ে বার্ষিক সভায় পৌরোহিত্য করেন সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর এ শঙ্করনারায়ণন। সভা শেষে শঙ্করনারায়ণন ও সংস্থার ম্যানেজার তথা সিইও মলয় চৌধুরীকে কারখানা খোলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁরাও কোনও জবাব দেননি।

বার্ষিক রিপোর্টে অবশ্য সংস্থা জানিয়েছে, সম্ভাব্য লগ্নিকারীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার বিষয়টি তারা সক্রিয় ভাবে খতিয়ে দেখছে। যারা সংস্থায় টাকা ঢালতে পারবে, বা বাজারে নতুন মডেলের গাড়ি আনতে পারবে, সে রকম লগ্নিকারীরই খোঁজ চলছে। পরে এক বিবৃতিতেও সংস্থা জানিয়েছে, কারখানা পুনরুজ্জীবনের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে সমাধানসূত্র বার করতে তারা সচেষ্ট। যথাসময়ে তা শেয়ারহোল্ডারদের জানানো হবে।

বেঙ্গল শ্রীরামকে জমি বিক্রি করে বাড়তি অর্থ পাওয়ার যে-অভিযোগ রাজ্য করেছে, সে বিষয়েও মন্তব্য করতে চাননি সংস্থার কর্তারা। যদিও বার্ষিক রিপোর্টে বাড়তি অর্থ পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা। ওই অর্থ সুদ-সহ ফেরতের দাবি জানিয়েছিল রাজ্য। সংস্থার দাবি, ওই খাতে কোনও দায় নেই বলেই তারা আইনি পরামর্শ নিয়ে জানতে পেরেছে।

এ দিকে, হিন্দমোটরের পুঞ্জীভূত লোকসান নিট সম্পদের চেয়ে বেশি হওয়ায় সংস্থাটি বিআইএফআরে চলে গিয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর বি আই এফ আরে প্রথম শুনানি কার্যত ভেস্তে যায় বলে দাবি মণীন্দ্রবাবুর। তাঁর দাবি, এ সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র কর্মী ইউনিয়ন, ব্যাঙ্ক-সহ কোনও পক্ষ না-পাওয়ায় ওই দিন শুনানি হয়নি। পরবর্তী শুনানি আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি।

মণীন্দ্রবাবুদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারও হিন্দমোটর নিয়ে খুব একটা উদ্যোগী হচ্ছে না। শেষ ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল জুন মাসে। যদিও সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ১৫ সেপ্টেম্বর আর একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন বিআইএফআরে শুনানি থাকায় তা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

hindustan motors opening
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE