প্রতীকী ছবি।
২০১৬ সালের নভেম্বরে নোটবন্দি। ২০১৭-র জুলাইয়ে জিএসটি। এই জোড়া ধাক্কা সবচেয়ে বেশি সামলাতে হয়েছে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পকে। যার রেশ কাটানো যায়নি এ বছরও। এ সবের মাঝে ব্যাঙ্ক-সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির অনুৎপাদক সম্পদ বেড়ে যাওয়ায় ওই শিল্পের সমস্যা আরও বেড়েছে। নতুন বছরে এই সমস্ত সমস্যা খানিকটা হলেও কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে আশা করছে তারা।
ঘটনা হল, ঋণ পেতে বরাবর কাঠখড় পোড়াতে হয় বেশির ভাগ সংস্থাকে। বন্ধকহীন ঋণের গালভরা সরকারি প্রকল্প থাকলেও বাস্তবে বন্ধক ছাড়া গতি নেই। শিল্প মহলের মতে, ব্যাঙ্কিং শিল্পের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নানা পদক্ষেপের কথা বলা হলেও তৃণমূল স্তরে সেই ইতিবাচক মনোভাব বা সদিচ্ছার অভাব যথেষ্ট। তার উপরে বড় সংস্থার ঋণ ফাঁকি ভোগান্তি বাড়িয়েছে ছোট শিল্পের। এরই পাশাপাশি এই শিল্পের সংগঠন ফসমির প্রেসি়ডেন্ট বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য ও ফ্যাকসির প্রেসিডেন্ট হিতাংশু গুহর দাবি, জিএসটির নিয়মকানুন কিছুটা সরল হলেও দুর্ভোগের ক্ষত এখনও শুকোয়নি। সমস্ত সমস্যা মেনে কষ্ট করে কারখানা চালু রাখলেও সমস্যা রয়েছে বাজারে।
শিল্প মহলের অবশ্য আশা, অনেক সমস্যার মাঝেও রুপোলি রেখা দেখতে পাচ্ছে তারা। হিতাংশুবাবু ও বিশ্বনাথবাবু জানান, পণ্য বিক্রি করে প্রাপ্য বকেয়া পেতে দীর্ঘ দিন হাপিত্যেশ করে থাকতে হত ছোট সংস্থাকে। টান পড়ত পুঁজিতে। কেন্দ্রীয় এমএসএমই আইন অনুসারে রাজ্যের ফেসিলিটেশন সেন্টারে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনায় এ বছর ৩৫-৩৬ কোটি টাকার বকেয়া আদায় হয়েছে। অল্প টাকার হলফনামা দিয়েই ওই কেন্দ্রে আবেদনের সুযোগ পায় সংস্থাগুলি। সে রকমই ৫৯ মিনিটের ঋণ প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বনাথবাবু। যদিও অনেকেরই আবার দাবি, এই ব্যবস্থাতেও ঋণ পেতে সমস্যা হচ্ছে।
নতুন বছরে ঠিক কী কী প্রত্যাশা ছোট শিল্পের?
হিতাংশুবাবুর উত্তর, জিএসটির ধাপ কমে তা সরল হলে চাপ কমবে তাঁদের। পাশাপাশি, রাজ্যে লগ্নি এলেও ভাল হবে বাজার। বিশ্বনাথবাবুর বক্তব্য, ‘‘আরও শিল্প তালুক প্রয়োজন। প্রত্যেক জেলায় উদ্যোগপতিদের সঙ্গে ঠিক মতো বৈঠক হওয়া প্রয়োজন প্রশাসনের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy