দাম কমেছে আনাজ ও পেঁয়াজের। তবে আলু, ডাল, গম, দুধ, ডিম, মাছ, মাংসের মতো জরুরি খাবার এখনও দাম অনেক চড়া। প্রতীকী ছবি।
খুচরো বাজারে ৫.৭২ শতাংশে নেমেছিল মূল্যবৃদ্ধি। পাইকারি বাজারে কমে হল ৪.৯৫%। ২২ মাসে সর্বনিম্ন। সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে, সামগ্রিক ভাবে খাদ্যপণ্যের দাম কমাই এর প্রধান কারণ। দাম কমেছে আনাজ ও পেঁয়াজের। তবে দুশ্চিন্তা কাটেনি। আলু, ডাল, গম, দুধ, ডিম, মাছ, মাংসের মতো জরুরি খাবার এখনও অনেক চড়া। তার উপরে গত মাসে ফের সঙ্কুচিত হয়েছে দেশের রফতানি।
এ দিনই বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ডিসেম্বরে ভারতের রফতানি ১২.২% কমে হয়েছে ৩৪৪৮ কোটি ডলার। আমদানিও ৩.৫% কমে ৫৮২৪ কোটি ডলারে নেমেছে। তবে আমদানি খাতেসাশ্রয়ের চেয়ে বেশি কমেছে রফতানিখাতে আয়। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ২৩৭৬ কোটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব বাজারে চাহিদা ঝিমিয়ে। ফলে বিক্রি মার খাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, উদ্বেগ যায়নি মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও। কারণ, শীতকাল কাটলে খাদ্যপণ্যের দাম ফের চড়বে কি না, সেই প্রশ্ন থাকছেই। তার উপরে ২০২১-এর ডিসেম্বরে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির উঁচু হারের (১৪.২৭%) তুলনায় এ বার তা বেশি নিচু দেখাচ্ছে। যদিও তৈলবীজ, খনিজ পদার্থ, অশোধিত পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, বস্ত্র ইত্যাদির দামও কমেছে।
আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্তের দাবি, “আমদানি পণ্যের দাম কমলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি। খুচরো বাজারে জরুরি পণ্যের দাম কমলে মানুষের হাতে খরচের জন্য টাকা বাঁচবে। যা চাহিদা বাড়িয়ে ঠেলে তুলবে আর্থিক বৃদ্ধিকে।’’ পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক বলছেন, ‘‘খুচরো ও পাইকারি, দুই বাজারে মূল্যবৃদ্ধি কমলেও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার বৃদ্ধি বহাল রাখতে পারে। কারণ আপাতত যুদ্ধ এবং বিশ্ব বাজারের সঙ্কটে চোখ রেখে সাবধান থাকতে চায় তারা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy