স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে টাকা জমার পথ সহজ করতে আরও হাট করে দেওয়া হল ব্যাঙ্কের দরজা। এত দিন ওই ধরনের চারটি প্রকল্পে ডাকঘরের পাশাপাশি ব্যাঙ্কের মাধ্যমেও টাকা জমা দেওয়া যেত। এ বার সেই তালিকায় যোগ হচ্ছে আরও চারটি স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প। সমস্ত সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পাশাপাশি এ জন্য অনুমতি পেয়েছে তিন বেসরকারি ব্যাঙ্ক। সেগুলি হল— এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ও অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক।
এত দিন স্বল্প সঞ্চয়ের যে চারটি প্রকল্পে লগ্নিকারীরা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারতেন, সেগুলি হল— পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ), কিসান বিকাশ পত্র-২০১৪, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা এবং প্রবীণ নাগরিক জমা প্রকল্প (সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম-২০০৪)। এখন থেকে বাকি চারটিতেও ডাকঘরের পাশাপাশি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া যাবে। এগুলি হল— ১৯৮১ সালে চালু হওয়া জাতীয় মেয়াদি আমানত প্রকল্প, ১৯৮৭ সালে চালু হওয়া জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্প বা মাসিক আয় প্রকল্প, ১৯৮১ সালে চালু হওয়া জাতীয় রেকারিং জমা প্রকল্প এবং জাতীয় সঞ্চয় সার্টিফিকেট বা এনএসসি-র অষ্টম ইস্যু।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির পরে স্বল্প সঞ্চয়কে অবহেলার অভিযোগ উঠেছিল সরকারের বিরুদ্ধে। পরেও তাতে সুদ কমায় তাদের আকর্ষণ আরও কমবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। এই অবস্থায় সুদ বাড়াতে না-পারলেও অন্তত ওই সমস্ত প্রকল্পে টাকা জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি কেন্দ্র আরও সহজ করতে চাইল বলে
মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। যাতে ডাকঘরের পাশাপাশি ব্যাঙ্কেও নিজেদের সুবিধামতো টাকা জমা করতে পারেন লগ্নিকারীরা।
তবে ব্যাঙ্কগুলি এই সমস্ত প্রকল্প বিক্রি করতে কতটা আগ্রহী হবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ইউকো ব্যাঙ্কের এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর ভি এস আইয়ার বলেন, ‘‘ওই সব প্রকল্প বিক্রির জন্য ব্যাঙ্কগুলি ঠিক কী হারে কমিশন পাবে, তা জানার আগে এ ব্যাপারে মন্তব্য করা কঠিন।’’
স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলি সবই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প। এতে জমা টাকার উপর সুদও মেটায় তারাই। ব্যাঙ্কের মাধ্যমে যে সব প্রকল্প বিক্রি হয়, তার জন্য কমিশন পায় ব্যাঙ্কগুলি। এখন টাকা জমার সুবিধা করতে ব্যাঙ্কের দরজা আরও হাট করে দেওয়া হল ঠিকই। কিন্তু তাতে সুবিধা কতটা হবে, তা বলবে সময়ই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy