গরমের ছুটি পড়ল বলে। এই সময়ে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়লেই হল। কিন্তু হচ্ছেটা কোথায়? ছুটিটা ম্যানেজ করে নিলেও খরচের চিন্তাটা কিন্তু থেকেই যায়।
লম্বা ছুটি ম্যানেজ হলেই, আম আদমি আগে থেকে প্ল্যান-প্রোগ্রাম করে রাখে। ঘুরতে যাওয়ার আগে অফিসের ব্যস্ততার মধ্যেও সুযোগ পেলেই চিরুনি তল্লাশি চালায় নেট জুড়ে। কোথায় কী অফার দিচ্ছে, কম খরচায় সব থেকে ভাল পরিষেবা দিচ্ছে কোন সংস্থা- এই সব কিছুর দিকে নজর থাকে আম আদমির। আর গরমের এই লম্বা ছুটির আগে হন্যে হয়ে খোঁজার পরিমাণটাও যেন বেড়ে যায়। আর গন্তব্য যদি বিদেশ হয়, তাহলে তো কথাই নেই। এক্ষেত্রে সব থেকে বেশি মাথাব্যথা থাকে বিমান ভাড়া নিয়ে।
তবে এবার এই মাথাব্যাথা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই। সমাধান নিয়ে হাজির এয়ার এশিয়া। কী, বুঝতে পারলেন না? তাহলে বিষয়টি খোলসা করেই বলা যাক।
গরমের ছুটি পড়তে আর বেশিদিন বাকি নেই। এই ছুটিতে কে কোথায় ঘুরতে যাবেন, ইতিমধ্যেই তার একটা ছক কষে ফেলেছেন। অনেকে আবার এখনও ভাবছেন যে কোথায় যাওয়া যায়। এদের প্রত্যেকের জন্যই রয়েছে সুখবর। এই ছুটিতে চাইলেই আপনি কুয়ালা-লামপুর, ইন্দোনেশিয়া বা ব্যাংকক থেকে ঘুরে আসতে পারেন। কেন না এয়ার এশিয়া বিমানের টিকিটে দিচ্ছে অবিশ্বাস্য ছাড়।
ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়া অর্থাৎ দ্বীপের দেশ। গোটা দেশটি জুড়ে রয়েছে প্রায় ১৭,০০০ -এরও বেশি দ্বীপ। আর ইন্দোনেশিয়ার কথা বললে, প্রথমেই মনে পড়ে বালির কথা।
সমুদ্র যারা ভালবাসেন, তাঁদের কাছে বালির বিকল্প খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ওয়াটার অ্যাডভেঞ্চারের অন্যতম সেরা ঠিকানা এই বালি। সারা বছরই বালির় সমুদ্রতটগুলিতে ওয়াটার সার্ফিং, প্যারাসেলিং, ব্যানানা বোটিং থেকে স্কুবা ডাইভিং-এর মতো বিভিন্ন ওয়াটার স্পোর্টসের রমরমা দেখা যায়। আর এই জলকেলির কোনওটারই অভিজ্ঞতা যদি আপনার আগে না থাকে, তাহলেও চিন্তার কোনও কারণ নেই। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকরা আপনাকে হাতে ধরে প্রশিক্ষণ দেবে।
ছবি সৌজন্যে: Pinterest
শুধু সমুদ্রই নয়। বালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যও আপনাকে মুগ্ধ করে দেবে। গোটা বালি জুড়ে প্রায় ২৮০-রও বেশি প্রজাতির পাখি দেখা যায়। আর সারা বছর এখানকার আবহাওয়াও থাকে অত্যন্ত মনোরম। বিকেলে সূর্যাস্ত, বালির সমুদ্রতটগুলিতে যেন আলাদা মাত্রা যোগ করে।
এর সঙ্গেই রয়েছে বালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। জর্জিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি ছয় মাসে এখানকার প্রাচীন মন্দিরগুলিতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান পালন করা হয়। আর বালিতে গেলে এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী না থাকলে অনেক কিছুই মিস করবেন আপনি।
এই গরমের ছুটিতে বালির সৌন্দর্য্য উপভোগ করে আসতেই পারেন আপনি।
মালয়েশিয়া
যেতে পারেন মালয়েশিয়াতেও। আসলে ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে মালেশিয়া মানেই জঙ্গল আর জঙ্গল। রোজের ব্যস্ত রুটিনকে স্রেফ ভুলে গিয়ে, এই গরমে যদি সবুজের বুকে হারিয়ে যেতে চান, তাহলে মালয়েশিয়া আপনার জন্য উপযুক্ত জায়গা। বর্নিও-র রেনফরেস্ট আর সমুদ্রতট আপনার যাবতীয় ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে।
শুধু জঙ্গলই নয়, মালেশিয়ায় গিয়ে এক মিশ্র অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে পারবেন আপনি। এগিয়ে চলা সময়, ঐতিহ্য, ব্যস্ততা এবং আধুনিকতা- এই সবকিছুর মিশেল পাবেন রাজধানী কুয়ালা-লামপুরের মাটিতে।
ছবি সৌজন্যে: www.mcgroup.com
এই কুয়ালা-লামপুরকে 'উৎসবের আখরা' বললেও ভুল বলা হবে না। সারা বছরই এখানে উৎসবের মেজাজ লেগে থাকে। বহু বছর ধরে যা চলে আসছে। পাশাপাশি আধুনিক শহরের এই আধুনিকতার মধ্যেও, এখানকার কালচারাল মিউজিয়ামগুলি শহরের প্রাচীন ইতিহাসকে ধরে রেখেছে।
কুয়ালা-লামপুরে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। এই পর্যটকদের একটা বড় অংশ বার বার মালেশিয়ায় বে়ড়াতে আসেন শুধুমাত্র এখানকার পরিবেশ উপভোগ করার জন্য।
ব্যাংকক
তাইল্যান্ডের রাজধানী হল ব্যাংকক। ১৭৮২-তে চকরি সাম্রাজ্যের রাজা রামার আমলে এই শহরটি রাজধানীর মর্যাদা পায়। শহরটিকে ব্যাংকক নামে জানলেও এই শহরের আসল নাম ক্রুং থেপ। যার অর্থ দেবদূতের শহর। এখানকার মানুষও অবশ্য তাই বিশ্বাস করেন।
ছবি সৌজন্যে: www.travelandleisure.com
ব্যাংককে একবার গেলে আপনি প্রেমে পড়ে যেতে বাধ্য। এখানকার সৌন্দর্য্য আপনাকে সম্মোহিত করে দেবে। ব্যাংকক সহ গোটা তাইল্যান্ড জুড়েই রয়েছে প্রচুর বৌদ্ধ মন্দির, প্যাগোডা এবং স্মৃতিসৌধ। সর্বদা যেন এক অদ্ভুত শান্তি বিরাজ করছে এই বৌদ্ধ মন্দিরগুলিতে। ধীরে ধীরে ব্যাংককের অন্দরে প্রবেশ করলে চোখে পড়বে চাও ফ্রায়া নদী। এই নদীর তীরেই এই শহরটি গড়ে উঠেছে। প্রাচীন ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সঙ্গে আধুনিকতার যেন এক অদ্ভুত মেলবন্ধন হয়েছে এখানে। এই শহরের রাজপথ সর্বদাই ব্যস্ত। আর সন্ধে হলেই আলোর খেলা আপনাকে মুগ্ধ করে দেবে।
জলপথও কিছু কম যায় না। গোটা ব্যাংকক জুড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি ‘ভাসমান বাজার’। ছোট ছোট কাঠের নৌকো করে সেখানে ফল-সবজি বিক্রি করেন স্থানীয়রা। যা এই শহরের অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়াও, ব্যাংককের খাদ্য তো আছেই। যার গন্ধ নাকে এলে কিংবা যা চোখে দেখলে, আপনার জিভে জল আসতে বাধ্য। আর এখানকার ‘তাই ম্যাসাজ’ তো পৃথিবী বিখ্যাত।
দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে পা রাখার মজাই আলাদা। আর আপনার পাসপোর্টের উপরে যদি বিদেশের স্ট্যাম্প লাগাতে চান, তবে এটাই হল সঠিক সময়। কেননা এরকম বিপুল ছাড় তো আর সচরাচর পাওয়া যায় না। তাহলে আর দেরি কেন? পাসপোর্ট-ভিসা রেডি রাখুন। ছুটি পেলেই ব্যাগ প্যাক করে বিদেশ পাড়ি।
এমনিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায়, আপনার প্রতিবেশি কিংবা অফিসের সহকর্মীদের ঘুরতে যাওয়ার ছবি দেখতে দেখতে আপনি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন। এবার কিন্তু সময়টা আপনার। বিদেশ ঘুরে আসুন আর আপনার যাত্রার সেই ছবি দেখিয়ে বাকিদের চমকে দিন। এই সুযোগ মিস করবেন না যেন।
অফার প্রযোজ্য সীমিত সময়ের জন্য। বিস্তারিত জানতে এবং টিকিট বুক করতে ক্লিক করুন এখানে।
আপনার যাত্রা শুভ হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy