Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিদেশি অংশীদারি বাড়ছে এসবিআই লাইফে

এসবিআই লাইফে আরও ১০% শেয়ার হাতে নেবে সংস্থার বিদেশি অংশীদার বিএনপি পারিবাস কার্ডিফ। আগামী আর্থিক বছরের গোড়াতেই এ ব্যাপারে লেনদেন চূ়ড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন এসবিআই লাইফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও অরিজিৎ বসু।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০১:৫০
Share: Save:

এসবিআই লাইফে আরও ১০% শেয়ার হাতে নেবে সংস্থার বিদেশি অংশীদার বিএনপি পারিবাস কার্ডিফ। আগামী আর্থিক বছরের গোড়াতেই এ ব্যাপারে লেনদেন চূ়ড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন এসবিআই লাইফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও অরিজিৎ বসু।

পাশাপাশি, আগামী বছর দুয়েকের মধ্যে এসবিআই লাইফ বাজারে শেয়ার ছাড়ার কথাও ভাবছে। অবশ্য সম্প্রতি কলকাতায় সংস্থার নতুন আঞ্চলিক দফতর উদ্বোধন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান শেষে অরিজিৎবাবু বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমাদের অতিরিক্ত মূলধনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু যেহেতু আগামী তিন বছরে ২৫ থেকে ৩০% ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছি, তাই পরে অতিরিক্ত মূলধনের প্রয়োজন হতে পারে। একমাত্র সে ক্ষেত্রেই আমরা বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের পথে যাব। তবে এর জন্য আইপিও-ই একমাত্র রাস্তা নয়। নিজেদের পছন্দ মতো সংস্থাকে শেয়ার বিক্রি-সহ আরও কিছু বিকল্পের কথাও ভাবা হতে পারে।’’

এ দেশের সাবেক আইন অনুযায়ী কোনও বিমা সংস্থার বিদেশি অংশীদার ২৬ শতাংশের বেশি শেয়ার হাতে রাখতে পারত না। কিন্তু সম্প্রতি আইন সংশোধন করে তা ৪৯% করা হয়েছে। তাই আরও ১০% শেয়ার হাতে নেওয়ার পরে এসবিআই লাইফে ৩৬% শেয়ারের মালিক হবে বিএনপি পারিবাস কার্ডিফ। আর বাকি ৬৪% শেয়ার থাকবে সংস্থার মূল প্রোমোটার স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার হাতে।

এ দিকে, এসবিআই লাইফ দেশের বেসরকারি জীবনবিমা শিল্পে প্রথম স্থানটি দখলের লক্ষ্যে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন অরিজিৎবাবু। বর্তমানে আইসিআইসিআই প্রুডেন্সিয়াল লাইফের পরে বেসরকারি জীবনবিমা শিল্প ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তারা।

চলতি আর্থিক বছরে গত জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত হিসাবে সংস্থার প্রিমিয়াম বাবদ মোট আয় ১০,৮৪০ কোটি টাকা ছুঁয়েছে বলে দাবি সংস্থা কর্তৃপক্ষের। তাঁদের আশা, গোটা অর্থবর্ষে এসবিআই লাইফ ৮১০ কোটি টাকা নিট মুনাফা করবে।

এ দিকে তাঁদের সংস্থায় শেয়ার বাজার ভিত্তিক ইউনিট লিঙ্কড ইনশিওরেন্স প্ল্যান (ইউলিপ)-এর গ্রাহকরা শেয়ারের পরিবর্তে ঋণপত্রে বিনিয়োগে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন বলে জানান অরিজিৎবাবু। বিমা সংস্থা সূত্রে খবর, শেয়ার বাজারের সাম্প্রতিক অনিশ্চয়তাই এর কারণ। অরিজিৎবাবু জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ইউলিপ প্রকল্পে সংগৃহীত মোট প্রিমিয়াম থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা শেয়ারে বিনিয়োগের বরাত গ্রাহকদের কাছ থেকে তাঁরা পেয়েছিলেন। ঋণপত্রে বিনিয়োগের বরাত ছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু গত জানুয়ারিতে ঋণপত্রে বিনিয়োগের বরাত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার কোটি। উল্টো দিকে শেয়ারে লগ্নির বরাত কমে এসেছে ১৬ হাজার কোটি টাকায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE