—প্রতীকী চিত্র।
কেন্দ্রের কাছে তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন ছিল, জমি-বাড়ি-বাণিজ্যিক ভবনের মতো নির্মাণ ক্ষেত্রে (রিয়েল এস্টেট) কালো টাকার কোনও হিসাব বা আন্দাজ সরকারের আছে কি না। জবাবে অর্থমন্ত্রক জানাল, রিয়েল এস্টেট-সহ কোনও ক্ষেত্রেই এমন কোনও সরকারি হিসাব নেই!
নোটবন্দির পরে মোদী সরকার দাবি করেছিল, এই পদক্ষেপের অন্যতম উদ্দেশ্য কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই। তাদের দাবি ছিল, নগদের লেনদেন কমলে হিসাব বহির্ভূত অর্থের জোগানেও রাশ টানা যাবে। যার জন্য সেই সময় থেকেই ডিজিটাল লেনদেনে জোর দিয়েছিল তারা। যদিও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, তার পরে বাজারে নগদের জোগান বেড়েছে বই কমেনি।
সোমবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে তৃণমূল সাংসদ মালা রায় জানতে চেয়েছিলেন, রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রে কালো টাকার লেনদেন নিয়ে সরকারের কাছে কোনও হিসাব আছে কি না। থাকলে তার সবিস্তার তথ্য ও তা রুখতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ও জানতে চান তিনি।
লিখিত জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরি জানান, দেশে ওই ক্ষেত্র-সহ কোনও ক্ষেত্রেই কালো টাকার সরকারি হিসাব নেই। তবে রিয়েল এস্টেটে হিসাব বহির্ভূত টাকার জোগান কমাতে আয়কর আইনের নানা ধারায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছে। যেমন, কোনও সম্পত্তির ঘোষিত মূল্যের চেয়ে স্ট্যাম্প ডিউটিতে দেওয়া অঙ্ক যদি বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটির হিসাব বিবেচনা করার জন্য দু’টি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন লেনদেনের ক্ষেত্রে রয়েছে শর্তের ধারা। সংশোধন করা হয়েছে বেনামি লেনদেন (প্রতিরোধ) আইন। আয়কর দফতরের কাছে যে তথ্য আসে, তা আধুনিক ব্যবস্থায় বিশ্লেষণ করে করদাতা নিয়ম মেনেছেন কি না খতিয়ে দেখা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy