ফাইল চিত্র
পূর্বাঞ্চলে কাঁচামালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে তিন দশক আগে কলকাতায় যে বিভাগ (র’ মেটিরিয়ালস ডিভিশন বা আরএমডি) তৈরি করেছিল সেল, আচমকাই তা গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সোমবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগল শ্রমিক সংগঠনগুলি। অভিযোগ, এর উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। যার ধাক্কায় সব থেকে ক্ষতি হবে রাজ্যের দুই ইস্পাত সংস্থা বার্নপুরের ইস্কো এবং দুর্গাপুরের ডিএসপির। সংস্থা দু’টিকে দুর্বল করে বেচে দেওয়া হবে বলে আশঙ্কা করছে তারা। এ ভাবে রাজ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া বা বেসরকারিকরণের যে পথে কেন্দ্র এগোচ্ছে, তার বিরুদ্ধে যৌথ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি।
এ দিন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, ‘‘রাজ্যের এমন দুই সংস্থাকে সমস্যায় ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যেখানে কাজ করেন কয়েক হাজার কর্মী। আমাদের আশঙ্কা, সংস্থা দু’টিকে এ ভাবে বিক্রির প্রক্রিয়াই শুরু করা হল। প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামব।’’ সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু এবং রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় সোমবার কলকাতায় অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক কালে এ রাজ্যে বেঙ্গল কেমিক্যাল-সহ একাধিক সংস্থায় একই চেষ্টা হয়েছে। অ্যালয় স্টিল বা ব্রিজ অ্যান্ড রুফ-এর মতো সংস্থায় বিলগ্নিকরণের উদ্যোগ রুখে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনের জোরে।
সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেন বলেন, ‘‘সিদ্ধান্ত বদলের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছি সেল-এর চেয়াম্যানকে।’’ সংগঠনটির রাজ্য দফতর শ্রমিক ভবনে আজ, মঙ্গলবার ইউনিয়নগুলির বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেল-সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার দফতরে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে শ্রমিক সংগঠনগুলি। সেল-এর সিদ্ধান্ত রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, সরব হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘আরএমডির জন্যই গত অর্থবর্ষে সেল বিপুল মুনাফা করেছে। লৌহ আকর সস্তায় পাওয়ার ব্যবস্থা করত তারা। আমাদের সন্দেহ, তাদের খনিগুলি বেসরকারি ইস্পাত কারখানাকে দেবে কেন্দ্র। রাজ্যের ক্ষতি করার এই কৌশল রুখতে পথে নামব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy