—ফাইল চিত্র
বিএসএনএলের অস্থায়ী ঠিকা কর্মীদের বকেয়া বেতন মেটানোর দায় যে সরকার বইবে না, বৃহস্পতিবার তা স্পষ্ট জানিয়ে দিল কেন্দ্র। রাজ্যসভায় টেলিকমমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, বিএসএনএল ও এমটিএনএলের ঠিকা কর্মীরা ঠিকাদারদের অধীনে কাজ করেন। ফলে তাঁদের বেতন দেওয়ার কথাও ঠিকাদারদেরই।
বিএসএনএলের আর্থিক সঙ্কটের জেরে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না ঠিকা কর্মীরা। অভাবের তাড়নায় দিন চলছে না অনেকেরই। বিক্ষোভে নেমেছেন একাংশ। সংস্থাকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে পুনরুজ্জীবন প্রকল্পে সরকারের সায় এবং তার পরে পঞ্চাশোর্ধ্বদের স্বেচ্ছাবসর দেওয়ার প্রক্রিয়া চালুর পরে তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে ওই ঠিকা কর্মীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এবং সে ব্যাপারে সরকারের ভূমিকা সম্পর্কেও। রাজ্যসভায় সেই প্রশ্নের উত্তরেই প্রসাদের দাবি, বিএসএনএল বিশেষ কিছু কাজ ঠিকাদার সংস্থাকে দিয়ে করিয়ে নেয়। সে জন্য ঠিকাদারেরাই অস্থায়ী কর্মীদের কাজে লাগায়। সংস্থা নিজে নয়। তাই তাঁদের বেতনের দায়িত্ব ঠিকাদারদেরই।
যদিও পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে ওই কর্মীদের বকেয়া বেতন মেটাতে সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটিকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিএসএনএলের একাংশেরও ব্যাখ্যা, তারা ঠিকা কর্মীদের নিয়োগ করে না। তাই তাঁদের বেতনের দায়িত্ব সরাসরি সংস্থার উপরে পড়ে না। ফলে এ বার প্রশ্ন উঠেছে, ঠিকাদারদেরই পাওনা টাকা বকেয়া থাকলে সমস্যা মিটবে কী করে? সংস্থা সূত্রের দাবি, সে ক্ষেত্রে ঠিকাদার সংস্থাগুলি বকেয়ার জন্য আর্জি জানাতেই পারে।
এ দিন বিএসএনএল কর্মীদের অবসরের বয়স ছাঁটাই সম্পর্কে ছড়ানো জল্পনার জবাবও দিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যসভাতেই যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় ধোত্রে জানান, অবসরের বয়স বর্তমান ৬০ বছরের থেকে কমিয়ে ৫০ করার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁদের।
প্রসাদ জানান, পুনরুজ্জীবনের পাশাপাশি পেশাদার টেলিকম সংস্থা হিসেবেই কেন্দ্র বিএসএনএল ও এমটিএনএল-কে গড়ে তুলতে চায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy