চার সংস্থায় ভাঙছে সিইএসসি।
গত এক দশকে কলকাতার সংস্থা ব্যবসা ছড়িয়েছে নানা দিকে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বণ্টন বহু বছর ধরে ছিলই। সেখান থেকে বহুতল বাজার, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প, স্পেনসার্সের মতো খুচরো বিপণন কেন্দ্র হয়ে পেশাদার ক্রীড়া জগতে পা রেখেছে তারা। সম্প্রতি শুরু করেছে মুখোরোচক খাবারের ব্যবসাও। কিন্তু সব ব্যবসাই চলছিল একটি সংস্থার ছাতার তলায়। বৃহস্পতিবার বার্ষিক সাধারণ সভায় সেগুলিকেই ভাগ করে আলাদা চারটি নতুন সংস্থার অধীনে আনার সিদ্ধান্ত নিল সিইএসসি-র পরিচালন পর্ষদ।
এ দিন সংস্থার চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েন্কা সাংবাদিক বৈঠকে জানান, প্রতিটি ব্যবসা দক্ষ ভাবে পরিচালনা করতে ও নজরদারি বাড়াতেই এই পুর্নগঠন। সিইএসসি লিমিটেডের আওতায় বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবসা থাকবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন (সিইএসসি জেনারেশন) ও খুচরো ব্যবসাকে (সিইএসসি রিটেল) দু’টি পৃথক সংস্থায় ভাঙা হবে। সিইএসসি ভেঞ্চার নামে চতুর্থ যে-সংস্থাটি হবে, তার অধীনে আসবে অন্য সব ব্যবসা (বিপিও, ফুটবল, মুখোরোচক খাবার)।
প্রতিটি সংস্থা ১ অক্টোবর বিএসই-তে নথিভুক্ত হবে। গোয়েন্কার দাবি, এর ফলে সিইএসসি শেয়ারহোল্ডাররা চারটি সংস্থারই শেয়ার পাবেন। তবে এই সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে পারেনি সংস্থা। দিনের শেষে সিইএসসির শেয়ার দর বিএসই এবং এনএসই-তে প্রায় ১৫% পড়ে।
সিইএসসি-র শেয়ার মূলধনও ১৩২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৯৮ কোটি হচ্ছে। অর্থাৎ তা ৬৬ কোটি বাড়ছে, যা ভাগ করা হবে শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে। ঠিক হয়েছে, সংস্থার ১০টি শেয়ার আছে যাঁদের, তাঁরা ৪ সংস্থা মিলিয়ে ১৮টি শেয়ার পাবেন। ৫টি করে সিইএসসি-র বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বণ্টন সংস্থার (মোট ১০টি), রিটেলের ৬টি এবং সিইএসি ভেঞ্চার নামে চতুর্থ সংস্থাটির ২টি।
উল্লেখ্য, সিইএসসি রিটেলের প্রতিটি শেয়ারের মূল দাম ৫ টাকা, বাকিগুলি ১০ টাকা করে। গোয়েন্কা জানিয়েছেন, চারটি সংস্থার পৃথক শেয়ার মূলধন রাখা হচ্ছে: সিইএসসি জেনারেশন ৬৬ কোটি, সিইএসসি লিমিটেড (ডিস্ট্রিবিউশন) ৬৬ কোটি, সিইএসসি রিটেল ৪০ কোটি ও সিইএসসি ভেঞ্চার ২৬ কোটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy