সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ।
শুল্ক-যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে চিনের অর্থনীতিতে। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৬.২%। এই অবস্থায় আরও বেশি করে বিদেশি লগ্নি টানতে তৎপর হল বেজিং। সেই লক্ষ্যে শেয়ার, বন্ডের মতো মূলধনী বাজারের উপর থেকে সরানো হল বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণ।
এমনিতে কোনও বিদেশি লগ্নিকারী সরাসরি চিনের বাজারে বিনিয়োগ করতে পারে না। তাদের জন্য আলাদা প্রকল্প রয়েছে। বুধবার চিনা শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব ফরেন এক্সচেঞ্জ (সেফ) জানিয়েছে, এখন থেকে তারই একটি কোয়ালিফায়েড ফরেন ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টর প্রকল্পের আওতায় চিনের মূলধনী বাজারে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলির লগ্নির জন্য আর নির্দিষ্ট সীমা থাকছে না। এত দিন যা ছিল ৩০,০০০ কোটি ডলার।
রেনমিনবি কোয়ালিফায়েড ফরেন ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরের উপর থেকেও তোলা হয়েছে লগ্নির সীমা। বলা হয়েছে, যোগ্যতা থাকলে সমস্ত দেশের লগ্নিকারীরাই এতে বিনিয়োগ করতে পারবে। বিদেশিদের জন্য আনা ইউয়ান ভিত্তিক এই প্রকল্পে দেশের বাইরে থেকে চিনের মুদ্রায় টাকা ঢালা যায়। এত দিন যা পরীক্ষামূলক ভাবে নির্দিষ্ট কিছু দেশের জন্য চালু ছিল।
বিদেশি লগ্নিকারীদের চিনের বাজারে টেনে আনাই এই দুই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য বলে আজ জানান সেফের মুখপাত্র ওয়াং চুনিং। একই সঙ্গে আগামী দিনে যাতে বিদেশিরা শেয়ার ও বন্ডে প্রশাসনিক ছাড়পত্র ছাড়াই টাকা ঢালতে পারেন, তার জন্য ক্যাবিনেটের সায়ও চাওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, বহু বছর ধরেই আর্থিক ক্ষেত্র বিদেশিদের জন্য খোলার কথা বলে আসছে চিন। তবে তা পুরোপুরি কাজে পরিণত করা থেকে বরাবরই পিছিয়ে এসেছে তারা। এই অবস্থায় শুল্ক-যুদ্ধ ধাক্কা দিয়েছে চিনের অর্থনীতিতে। তাতে গতি আনতে ইতিমধ্যেই আর্থিক ক্ষেত্রের উপর থেকে বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার কথা ঘোষণা করেছে বেজিং। জানানো হয়েছে, ২০২০ সাল থেকে শেয়ার, বিমা ও ফান্ড পরিচালনা ব্যবসায় বিদেশি অংশীদারির সীমা তোলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy