তবুও: ট্রাম্পের দেশে চিনা পণ্য। ‘চায়না শিপিং’-এর কন্টেনার ক্যালিফোর্নিয়ার সান পেড্রো বন্দরে। ছবি: রয়টার্স।
ইস্পাতের বদলা সোয়াবিন!
চিনা পণ্যের উপর চাপানো শুল্ক নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষমেশ নরম হলে ভাল। নইলে আগামী দিনে মার্কিন মুলুক থেকে আসা বিমান, গাড়ি এমনকী সোয়াবিনের উপরেও চড়া শুল্ক বসানোর কথা বেজিং ভাববে বলে ইঙ্গিত চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে।
এমনিতে ট্রাম্প মনে করছেন, কাজ হচ্ছে শুল্কের হুমকিতে। ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে যথাক্রমে ২৫% ও ১০% শুল্ক বসিয়েছে ওয়াশিংটন। তা এড়াতে এখন অনেক দেশই নাকি নতুন করে বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে আমেরিকার সঙ্গে। যেমন, কথা এগিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে।
কিন্তু একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘এ বার আমাদের সঙ্গে বৈষম্য ঘোচানোর পথে হাঁটবে চিন। বহু বছর তারা একচেটিয়া ভাবে বাণিজ্যে রাজত্ব করেছে। সেই দিন শেষ।’’
চিনও জানিয়েছে, দু’দেশের মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তাপ কমানো নিয়ে। ট্রাম্প ৬,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যের উপরে শুল্ক বসানোর পরে এই প্রথম। কিন্তু তারপরেও চিনের উপ প্রধানমন্ত্রী লিউ হে বলেছেন, ‘‘যে কোনও মূল্য জাতীয় স্বার্থরক্ষার জন্য বেজিং তৈরি।’’ ট্রাম্প আপাতত শুল্ক থেকে ছাড় দিলেও কড়া বার্তা দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্টও।
চিনের সঙ্গে নিজেদের বিপুল বাণিজ্য ঘাটতির কথা বারবার বলছে ওয়াশিংটন। সেই কারণেই নাকি ৩০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে চড়া শুল্ক বসানোর কথা ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে শুয়োরের মাংস, ওয়াইন, ফল, বাদাম ইস্পাতের টিউবের মতো ১২৮টি পণ্য।
কিন্তু সেই চাপ আরও বাড়িয়ে এ দিন বেজিংয়ের ইঙ্গিত, এ সবে শুরু। আমেরিকা নিজেদের কড়া অবস্থান বজায় রাখলে, আগামী দিনে পাল্টা চাল দেবে তারাও। চড়া শুল্ক বসানোর কথা ভাববে মার্কিন সোয়াবিন, গাড়ি, বিমানের উপরে।
আমেরিকা থেকে চিনে সোয়াবিন আসে ১,২৪০ কোটি ডলারের। আর ২০৩৬ পর্যন্ত ৭,০০০টি বিমানের বরাত মার্কিং সংস্থা বোয়িংকে দিয়ে রেখেছে বিভিন্ন চিনা সংস্থাই। ফলে কাঁপুনি ধরছে কর্পোরেট দুনিয়ায়। মাথা ঠান্ডা রাখার বার্তা দিয়েছেন অ্যাপল কর্ণধার টিম কুকও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy