প্রতীকী ছবি।
অর্থনীতিতে বেড়ে চলা ঋণ নিয়ে ফের মোদী সরকারকে আক্রমণ করল কংগ্রেস। রবিবার বিরোধী দলটির অভিযোগ, ২০১৪ সালে প্রথমবার নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ন’বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণ আড়াই গুণেরও বেশি বেড়েছে। দেশের মোট ঋণকে জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে ওই সময়ে তা ছিল ৪৩,১২৪ টাকা। আগামী ৩১ মার্চের হিসাবে সেই ঋণই হতে চলেছে ১,০৯,৩৭৩ টাকা। তাদের তোপ, মোদী সরকার পরবর্তী প্রজন্মকে ধারে ডুবিয়ে যাচ্ছে।
সেই সঙ্গে অক্সফ্যামের রিপোর্টকে তুলে ধরে মোদীর আমলে বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং বাড়তে থাকা আর্থিক বৈষম্য নিয়েও কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। এক টুইটে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রশ্ন, ‘‘কী করে প্রধানমন্ত্রীর ‘পছন্দের বন্ধুর’ সম্পত্তি করোনাকালে আট গুণ বাড়ল? এক বছরেই বা তা ৪৬% বৃদ্ধির মুখ দেখল কী করে?’’
কংগ্রেসের মুখপাত্র গৌরব বল্লভের দাবি, ২০১৪ সালের মার্চে ভারতের মোট ঋণ ছিল ৫৫.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা। আগামী ৩১ মার্চে তা হতে পারে ১৫৫.৩১ লক্ষ কোটি। তাঁর দাবি, বিজেপি সরকার শুধু দেশবাসীর উপরে বিপুল ঋণের বোঝাই চাপায়নি। তাদের বিভিন্ন নীতি করোনা পরবর্তী বিশ্বে বিশেষত মধ্যবিত্ত ও কম আয়ের পরিবারের চাহিদাও কমিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ২৫.৯% থেকে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তা হয়েছে ৯.৭%। কেন্দ্রের যদিও দাবি, বিশ্ব অর্থনীতির দোলাচলের মধ্যে দাঁড়িয়ে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়েছে ভারত। যা দেশের অগ্রগতিকেই তুলে ধরে।
সম্প্রতি অক্সফ্যামের রিপোর্ট বলেছে, ভারতের ধনীতম ৫% ব্যক্তির হাতে যেখানে দেশের মোট সম্পদের ৬০% রয়েছে, সেখানে জিএসটিতে তাঁদের ভাগ মাত্র ৩%। আর্থিক ভাবেপিছিয়ে থাকা অর্ধেক মানুষের হাতে সম্পদ রয়েছে ৩%। অথচ জিএসটির ৬৪% এসেছে তাঁদের হাত ধরে। বল্লভের মতে, মোদী সরকারের ঋণ আসলে অর্থনীতিকে ইংরাজি ‘কে’ (K) অক্ষরের মতো এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, এক শ্রেণির উন্নতি হয়েছে। অন্য শ্রেণি আরও ডুবেছেন অন্ধকারে।
বল্লভের প্রশ্ন, মাথাপিছু ঋণ কেন ন’বছরে আড়াই গুণেরও বেশি বাড়ল? মোট ঋণই বা ২.৭৭ গুণ বৃদ্ধি পেল কী করে? কেন কেন্দ্রের ধার এক শ্রেণিকে সুবিধা দিচ্ছে অন্যদের ক্ষতি করছে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy