প্রতীকী ছবি
আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ) বলেছিল আগেই। এ বার রাষ্ট্রপুঞ্জও জানাল, করোনার প্রকোপে এ বছর বিশ্বব্যাপী মন্দা অবশ্যম্ভাবী। সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে। তবে ব্যতিক্রম হতে পারে ভারত ও চিন। বৃদ্ধি বড় ধাক্কা খেলেও হয়তো মন্দার মুখ দেখতে হবে না তাদের। পাশাপাশি, বিশ্ব ব্যাঙ্ক বলেছে, করোনার জেরে শুধু পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দারিদ্রের গণ্ডিতে ঢুকবেন ১.১ কোটি মানুষ।
জানুয়ারিতেই বিশ্বে বেকারত্বের ভয়াবহ অবস্থার কথা তুলে ধরেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার রিপোর্ট। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার আরও অবনতি হতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ইউএনসিটিএডি) মঙ্গলবার রিপোর্টে জানিয়েছে, দু’মাসে করোনার প্রকোপে যে ভাবে আর্থিক কার্যকলাপ কমেছে, তাতে বেশি ধাক্কা খেয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলি। যেখানে বসবাস বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের। গত ক’দিন বিপুল বিদেশি লগ্নি সরেছে এই সব দেশ থেকে। দু’বছরে ২-৩ লক্ষ কোটি ডলার কমতে পারে অর্থনীতির বহর।
আবার উন্নত দেশে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে অসংগঠিত ক্ষেত্র। যে সমস্যা আদতে দেখা যায় উন্নয়নশীল দেশে। যদিও এই পরিস্থিতির মধ্যে ভারত ও চিন কী ভাবে মন্দা এড়াতে পারবে, তা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা অবশ্য দেওয়া হয়নি ইউএনসিটিএডির রিপোর্টে। তবে সম্প্রতি মুডি’জ়, ইক্রা, ফিচ, ইন্ডিয়া রেটিংসের মতো মূল্যায়ন সংস্থা ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস বিপুল ভাবে ছাঁটাই করেছে। আর রাষ্ট্রপুঞ্জের এ দিনের রিপোর্টেও পরিষ্কার, মন্দা না-এলেও অর্থনীতির উপরে ধাক্কা ভাল রকমই সামলাতে হবে ভারতকে।
এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শিল্পোন্নত দেশগুলি (জি-২০) ও চিন ৫ লক্ষ কোটি ডলারের ত্রাণ ঘোষণা করেছে। ইউএনসিটিএডির পরামর্শ, উন্নয়নশীল ও পিছিয়ে পড়া দেশগুলির জন্য আইএমএফের মাধ্যমে ২.৫ লক্ষ কোটির ব্যবস্থা হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy