প্রতীকী ছবি।
মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে মাসখানেকের নৈশ কার্ফু এবং সপ্তাহান্তের লকডাউন ঘোষণার পরে প্রমাদ গুনছে দেশের হোটেল-রেস্তরাঁগুলি। দেশে সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে অন্যান্য রাজ্যও একই বা আরও কড়া বিধিনিষেধ এনে অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ আটকাতে চেষ্টা করবে কিনা, সেই আশঙ্কায় কাঁটা তারা। বেশিরভাগেরই দাবি, তেমনটা হলে এবং রাতের দিকে বড় সময় ধরে তাদের দরজা বন্ধ রাখার নির্দেশ এলে পুরোপুরি পঙ্গু হয়ে পড়বে বহু হোটেল-রেস্তরাঁ। তাই সমস্ত রাজ্যের কাছে আংশিক বা পূর্ণ, যে কোনও ধরনের লকডাউন-পরিস্থিতিতেই পরিষেবা দেওয়ার জন্য ছাড় চেয়েছে তারা। প্রতিকূলতা যুঝতে সুবিধা দাবি করেছে করের ক্ষেত্রেও।
মঙ্গলবার হোটেল-রেস্তরাঁগুলির রাজ্য (এইচআরএডব্লিউআই) এবং জাতীয় (এফএইচআরএআই) স্তরের সংগঠনের দাবি, বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে শীঘ্রই কেন্দ্র এবং সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের দ্বারস্থ হবে তারা। আর্জি জানাবে, যে কোনও অবস্থায় কঠোর ভাবে বিধি মেনে হোটেল-রেস্তরাঁ চালু থাকুক। না-হলে কর্মীদের ক্ষতিপূরণ ও সংস্থাগুলিকে কর ছাড় দেওয়া হোক।
এইচআরএডব্লিউআইয়ের আশঙ্কা, নৈশ কার্ফুর জেরে মহারাষ্ট্রের ৯০% হোটেল-রেস্তরাঁ চিরতরে বন্ধ হবে। তাদের দাবি, বিশেষ পরিবেশে বসে খাওয়ার আগ্রহ ও জনপ্রিয়তাই ব্যবসার মূল ভিত্তি। শুধু বাড়িতে খাবার পৌঁছে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। রেস্তরাঁ ব্যবসার আর এক সংগঠন এনআরএআইয়ের স্পষ্ট বক্তব্য, হয় সেগুলি পুরো সময় খোলা রাখতে দেওয়া হোক, নয়তো কর্মীদের এবং ব্যবসার সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে ক্ষতিপূরণ দিক রাজ্যগুলি।
সন্ধ্যে থেকে রাতে এবং সপ্তাহ শেষেই মূলত বেশি ব্যবসা করে হোটেল-রেস্তরাঁগুলি, দাবি এফএইচআরএআইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল জেসন চাকো-র। মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ফোনে তিনি বলেন, ‘‘আমরা গোড়া থেকেই কঠোর ভাবে বিধি মেনে ব্যবসা করেছি। সেটা মেনেই ব্যবসা চালানো সম্ভব। যেমন বিমান পরিষেবা চলছে। তা হলে আমাদের উপর প্রথম থেকেই কোপ পড়ছে কেন?’’
কিন্তু সংক্রমণ বাড়লেও তো ব্যবসার ক্ষতি হবে? তা অস্বীকার না-করলেও জেসনের বক্তব্য, নৈশ কার্ফু বা সপ্তাহান্তের লকডাউন তার সমাধানসূত্র নয়। বরং রাজ্যগুলিকে শীঘ্রই তাঁরা বিকল্প প্রস্তাব দেবেন। যেমন, বিধি ও সতর্কতা মেনে হোটেল-রেস্তরাঁ খোলা রাখা। হোটেলে জমায়েত সম্পূর্ণ বন্ধ না-করে অতিথির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা। স্থানীয় প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই শিল্পের সব কর্মীদের জন্য (৪৫ বছরের কম হলেও) প্রতিষেধকের ব্যবস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy