প্রতীকী ছবি।
দেশে পেট্রল-ডিজেলের লাগাতার দাম বৃদ্ধির জন্য বিশ্ব বাজারের যে অশোধিত তেলকে এতদিন দায়ী করেছে মোদী সরকার, তা এখন আগের থেকে অনেক সস্তা। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গত ৩০ জুলাই থেকে ব্রেন্ট ক্রুডের দর ব্যারেলে প্রায় সাত ডলার কমে ৭০ ডলারের নীচে নেমেছে। অথচ জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে দেশে তেলের দর রেকর্ড উচ্চতায় স্থির। নামার লক্ষণ নেই। অনেকেই বলছেন, এটা বরাবর দেখা গিয়েছে অশোধিত তেলের দাম বাড়লে দেশে জ্বালানি দামি হয়। কিন্তু কমলে তার সুবিধা মেলে না। অতিমারির আবহে দেশবাসীর আর্থিক সঙ্কটের কথা বিবেচনা করে অন্তত সেই ছবি পাল্টানো উচিত। তবে এখনও তেমন ইঙ্গিত নেই।
গত বছর লকডাউনের সময়ে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর তলিয়ে গেলেও দেশে পেট্রল-ডিজেলের দাম কমেনি। টানা ৮২ দিন স্থির ছিল। উল্টে সরকার উৎপাদন শুল্ক বাড়িয়েছে। পরে ব্রেন্টের দাম ফের যখন চড়েছে, লাগাতার দামি হয়েছে পেট্রোপণ্য। পেট্রল সর্বত্র লিটারে ১০০ টাকা ছাড়ায়। ডিজেলও চড়ে, কোথাও ১০০ টাকার কাছাকাছি, কোথাও তা পার। অথচ দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষকে সুরাহা দিতে সরকারের কাছে উৎপাদন শুল্ক কমানোর আর্জি জানিয়ে লাভ হয়নি। উল্টে তেলের খরচের ধাক্কায় বাজারে পণ্যের দাম আগুন হওয়ায় হাঁসফাঁস দশা হয়েছে সাধারণ রোজগেরে মানুষের।
কিন্তু প্রায় ৭৬ ডলার ছোঁয়া অশোধিত তেল এখন অনেক নীচে। সোমবার ভারতীয় সময়ে রাতে তা এক সময়ে ৬৭.৮৯ ডলারে নামে। বস্তুত, ৩০ জুলাইয়ের পর থেকে প্রায় পুরো সময়টাতেই তা নিম্নমুখী। ফলে প্রশ্ন উঠছে, দেশে এখনও তার প্রতিফলন নেই কেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy