নোট বাতিলের বিরূপ প্রভাব থেকে এখনও পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি দেশের ক্ষুদ্র ঋণ শিল্প। এই মুহূর্তে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ বকেয়া পড়ে রয়েছে।
কলকাতায় সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েশন অব মাইক্রো ফিনান্স ইনস্টিটিউশন্স (অ্যামফি) আয়োজিত ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে এক আলোচনাসভা শেষে এ কথা জানান সংগঠনের চেয়ারম্যান অজিত কুমার মাইতি। তা ছাড়া, কয়েকটি রাজ্যে কৃষি ঋণ মকুবের ঘটনাও ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবসার ক্ষতি করেছে বলে অভিযোগ। ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞ তমাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই দুই ঘটনার জেরে এক দিকে যেমন অনাদায়ী ঋণ বেড়েছে, তেমনই ব্যাহত হয়েছে ব্যবসা সম্প্রসারণ। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ এবং কর্নাটক।’’
ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রক্রিয়ার ব্যবহার বাড়ানোর উপর বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই জোর দেন। তবে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা ভিলেজ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কুলদীপ মাইতি অবশ্য মনে করেন, ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বুঝেশুনে এগোনো উচিত। তাঁর মতে, মাইক্রো ফিনান্স ব্যবসার সাফল্যের মূলে রয়েছে গ্রাহকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সরাসরি যোগাযোগ। ঋণ বণ্টন এবং তা আদায়ের ক্ষেত্রে ওই যোগাযোগের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সব কাজ করা হলে গ্রাহকের সঙ্গে সংস্থার সরাসরি যোগাযোগ প্রায় থাকবে না বললেই চলে।
ব্যবসা বাড়ানোর ক্ষেত্রে চড়া সুদের হারই ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলির সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেন বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি চন্দ্রশেখর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক-সহ এখন অনেক ব্যাঙ্কও ক্ষুদ্র ঋণ দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে প্রতিযোগিতামূলক সুদের হারের উপর ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলিকে জোর দিতে হবে।’’ এ দিকে রাজ্যে গ্রামীণ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার জন্য সমবায় ব্যাঙ্ক এবং জেলা ভিত্তিক কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতিগুলিগুলি নতুন ২০০টি শাখা খোলার পরিকল্পনা করেছে বলে সভায় জানান রাজ্য সরকারের এক প্রতিনিধি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy