বেশ কিছু দিন বাদে সপ্তাহভর উত্থান দেখল বাজার। গত শুক্রবার যখন লেনদেন বন্ধ হচ্ছে, তখন সেনসেক্সের ঝুলিতে সাত দিনের সংগ্রহ ১,২১৩ পয়েন্ট। ৩৬ হাজার পেরিয়ে পা ৩৬,১৯৪ অঙ্কে। নিফ্টিও তুলেছে ৩৫০ পয়েন্ট। মনে করা হচ্ছে, তেল ও ডলারের দাম কমা এবং বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির ভারতে ফেরাই জ্বালানি জুগিয়েছে তাদের।
তবে ফের আশঙ্কার সিঁদুরে মেঘও চোখে পড়েছে ওই শুক্রবারই। অর্থনীতিবিদেরা আশা করেছিলেন, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি দাঁড়াবে ৭.৪% থেকে ৭.৯%। অথচ ওই দিন শেষ বেলায় প্রকাশিত তথ্য বলছে, ওই তিন মাসে তা ৭.১%, যেখানে আগের ত্রৈমাসিকে ছিল ৮.২%। সোমবার বাজার খুললে বোঝা যাবে সূচকে এর প্রভাব কতটা পড়ে। চিন্তা বাড়িয়েছে, কৃষি উৎপাদনের ২.৮% বৃদ্ধি, যা অনুমানের তুলনায় অনেকটাই কম। আশঙ্কা, এর ফলে মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
দ্বিতীয় চিন্তার কারণ রাজকোষ ঘাটতি। কেন্দ্রীয় বাজেট অনুযায়ী গোটা অর্থবর্ষের ঘাটতি ধরা হয়েছিল ৬.২৪ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু সাত মাসে তা দাঁড়িয়েছে ৬.৪৯ লক্ষ কোটি। অর্থাৎ লক্ষ্যের ১০৩.৯%। কেন্দ্রকে এখন খুঁজতে হবে, মোটা অঙ্কের অর্থ সংগ্রহের পথ। অনেকে বলছেন, এই কারণেই চোখ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তহবিলে। অর্থ সংগ্রহে তাদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার (সিপিএসই) চতুর্থ ইটিএফ ইস্যুও, যা বন্ধ হয়েছে গত শুক্রবার। শুরুতে এর মোট আয়তন ছিল ১৪,০০০ কোটি। কিন্তু আবেদন জমা পড়েছে ২৭,৩০০ কোটি টাকার ইউনিটের জন্য। সরকারি মহলের খবর, তাই আয়তন বাড়িয়ে ১৭,০০০ কোটি করা হতে পারে।
শুক্রবার বের হয়েছে অক্টোবরে মূল পরিকাঠামো শিল্পে উৎপাদনের পরিসংখ্যানও। মোটের উপর উৎপাদন বেড়েছে ৪.৮%। সেপ্টেম্বরে ৪.৩% বৃদ্ধির তুলনায় অক্টোবরে বৃদ্ধি কিছুটা ভাল। তবে আগের বছর একই সময় ছিল ৫%। সঙ্গের সারণিতে দেওয়া হল বিশদ তথ্য।
গত বুধবার জমায় আর এক দফা সুদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক। কয়েকটি মেয়াদে তা বাড়ানো হয়েছে ১০ বেসিস পয়েন্ট করে। ফলে সর্বাধিক হার দাঁড়িয়েছে ৬.৮০%। প্রবীণ নাগরিকেরা পাবেন ৭.৩০%।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy