—প্রতীকী চিত্র।
দেশ জুড়ে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে গত এক বছরে ফ্ল্যাটের দাম ১৫% পর্যন্ত বেড়েছে। আবার মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়ানোয় বেড়েছে গৃহ ঋণের সুদও। আবাসন ক্ষেত্রের উপদেষ্টা সংস্থা অ্যানারকের দাবি, তা সত্ত্বেও চলতি বছরে (২০২৩) দেশের প্রথম সারির সাতটি শহরে আবাসনের বিক্রি পৌঁছেছে সর্বকালীন উচ্চতায়। আর এক উপদেষ্টা সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্ক জানাচ্ছে, উন্নতি হয়েছে সাধ্য সূচকেও।
অতিমারির পরে নিজস্ব স্থায়ী ঠিকানা তৈরিতে জোর দিয়েছেন মানুষ। তার ফলে বেড়েছে ফ্ল্যাটের চাহিদা। পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্য সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে কিছুটা আর্থিক সুবিধা দেওয়ায় তাতে আরও গতি আসে। অ্যানারকের সমীক্ষায় দাবি, মুম্বই মেট্রোপলিটন অঞ্চল, পুণে, দিল্লি ও রাজধানী অঞ্চল, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই ও কলকাতায় এ বছরে প্রায় ৪.৭৭ লক্ষ ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে। গত বছরের চেয়ে ৩১% বেশি। এর আগে পর্যন্ত গত বারের বিক্রিই ছিল রেকর্ড। এ বছর বিক্রি সবচেয়ে বেড়েছে মুম্বই মেট্রোপলিটন অঞ্চলে। কলকাতায় বিক্রি বৃদ্ধির হার ৯%। অ্যানারকের চেয়ারম্যান অনুজ পুরীর বক্তব্য, ফ্ল্যাটের দাম ও সুদের হার বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তায় বাড়ির বাজারে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকলেও চড়া চাহিদার ধারাবাহিকতা বজায় ছিল।
নাইট ফ্র্যাঙ্কের দাবি, আবাসনের সাধ্য সূচকেও (পরিবারের আয় ও ইএমআইয়ের অনুপাত) এ বছরে সামান্য উন্নতি হয়েছে। তাতে সাধ্যের নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে আমদাবাদ। সেখানে গড়ে পরিবারের আয়ের ২১% খরচ হয়েছে ইএমআই খাতে। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা ও পুণে (২৪%)। গড়ে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ হয়েছে মুম্বইয়ে (৫১%)। নাইট ফ্র্যাঙ্কের সিএমডি শিশির বৈজলের আশা, মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা কমলে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সাধ্য সূচকের আরও উন্নতি ঘটবে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার কমালে কমবে গৃহ ঋণের সুদও। যা আবাসন ক্ষেত্রে আরও গতি আনতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy