জিয়োগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন অব গুডস আইনে বিশেষ স্বীকৃতি (জিআই তকমা) পেয়েছে দার্জিলিং চা। যার অর্থ, সেখানে তৈরি না-হলে কোনও চা-ই দার্জিলিং চা বলে বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু অনেক সময়ে নেপাল থেকে আমদানি করা চা-ও দার্জিলিং চা বলে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। তাই নেপালের চায়ে নজরদারি বাড়াতে টি বোর্ডের কাছ আর্জি জানাল দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশন (ডিটিএ)।
সূত্রের খবর, ভারত-নেপাল মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির থাকায় সেখানকার চা এ দেশে আমদানি করা হয়। কিন্তু দার্জিলিং চায়ের সঙ্গে কিছু সাদৃশ্য থাকায় অনেক সময়েই নেপালের চা দার্জিলিং বলে ভুল হতে পারে। বাজারে দার্জিলিং চায়ের ঘাটতি রয়েছে। তা পূরণে অনেক ক্ষেত্রে নেপালের মতো দেশ থেকে আমদানি করা চা দার্জিলিং চা বলে বিক্রি হয়, যা বেআইনি।
ডিটিএর দাবি, বোর্ড ২০১৪ সালে এমন চায়ে নজরদারি ব্যবস্থা চালুর কথা জানায়। বলে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথাও। কিন্তু সেই ব্যবস্থা কার্যকর না-হওয়ায় ডিটিএ-র সেক্রেটারি জেনারেল কৌশিক বসু ফের উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানিয়েছেন।
বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান অরুণ
কুমার রায়ের দাবি, নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মান নির্ধারণের শর্ত না-মানলে চা আমদানিতে ছাড়পত্র না-দিতেও শুল্ক দফতরকে বলেছেন। তবে তাঁর দাবি, অনিয়ম ঠেকাতে নেপাল চা নিলামে বিক্রির প্রস্তাব দেওয়া হয় ডিটিএকে। সেই সঙ্গে সব দার্জিলিং চা প্যাকেটের মাধ্যমে বিক্রির ও তাতে ‘কিউআর কোডের’ মাধ্যমে বাগানের তথ্য দেওয়ার ভাবনা রয়েছে। এ জন্য চা শিল্পকে এগিয়ে আসুক, চান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy