এনটিটি ডোকোমো-কে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে টাটাদের অনুমতি নেওয়া আদৌ জরুরি কি না, এ বার শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাছেই তা জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি এস মুরলীধর বলেন, দু’পক্ষের চুক্তিতে ঠিক হয়ে থাকা ক্ষতিপূরণের টাকা মেটাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিশেষ অনুমতি কি জরুরি? শীর্ষ ব্যাঙ্ককে তাঁর নির্দেশ, ‘‘স্পষ্ট জানান হ্যাঁ কি না। যদি হ্যাঁ হয়, তবে কোন নিয়ম অনুযায়ী? এ বিষয়ে আপনাদের অবস্থান স্পষ্ট করুন।’’
২০০৯ সালের মার্চে টাটা টেলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গড়তে গিয়ে ২৬.৫% শেয়ার নিয়েছিল জাপানি টেলি পরিষেবা সংস্থা এনটিটি ডোকোমো। শেয়ার-পিছু ১১৬.৯০ টাকা দাম দিতে উপুড় করেছিল ১২,৭৪০ কোটি টাকা। কিন্তু শর্ত ছিল, পাঁচ বছরের মধ্যে ডোকোমো যৌথ উদ্যোগ ছেড়ে গেলে, জাপানি সংস্থাটির অংশীদারি অন্তত অর্ধেক দরে (শেয়ার প্রতি ৫৮.৪৫ টাকা) কেনার ক্রেতা খুঁজে দিতে হবে টাটাদের। নইলে বাজার দরের নিরিখে তা কিনে নিতে হবে তাদেরই। সেই অনুযায়ী ২০১৪ সালে ডোকোমো জোট ভাঙতে চাওয়ায় শেয়ার-পিছু ২৩.৪৪ টাকা দাম দিতে চেয়েছিল টাটারা। কিন্তু শীর্ষ ব্যাঙ্ক সায় দেয়নি।
অর্ধেক দামে কেউ ডোকোমোর শেয়ার কিনুক কিংবা বাজারদর মেনে টাটারা— দু’ক্ষেত্রেই যেহেতু সেই টাকা দেশের বাইরে যাবে, তাই তখন ওই দামে অংশীদারি বিক্রির অনুমতি দেয়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। পরে এ নিয়ে লন্ডনে সালিশি আদালতের দ্বারস্থ হয় ডোকোমো। তারা টাটাদের নির্দেশ দেয় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১১৭ কোটি ডলার ডোকোমোকে মিটিয়ে দেওয়ার।
টাটারা তাতে রাজি। সেই টাকা দিল্লি হাইকোর্টে জমাও দিয়েছে তারা। কিন্তু শীর্ষ ব্যাঙ্কের সায় মেলেনি। তারপরেই আদালতের এই নির্দেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy