বিজয় মাল্য। ফাইল চিত্র।
কিংফিশার এয়ারলাইন্সের ঋণ জালিয়াতি-কাণ্ডে পলাতক ব্যবসায়ী বিজয় মাল্যের সঙ্গে এ বার নাম জড়াল আইডিবিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের। এই অভিযোগের তদন্তে সম্প্রতি মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থাটি। সেখানে তাদের দাবি, মাল্যের সঙ্গে প্রাক্তন ওই ব্যাঙ্ক-কর্তা মিলে প্রতারণার জাল বিস্তার করেছিলেন। ঋণের টাকা সরানো হয়েছিল মাল্যের অন্যান্য ব্যবসা এবং ব্যক্তিগত খরচের জন্যও।
প্রথম চার্জশিটে মোট ১১ জনকে অভিযুক্ত করেছিল সিবিআই। সাম্প্রতিকতম চার্জশিটে তাদের দাবি, ২০০৯ সালে মাল্যের বিমান সংস্থাকে বাড়তি ১৫০ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি ঋণ মঞ্জুরের ক্ষেত্রে সহকর্মীদের নিয়ে নিজের পদের প্রভাব কাজে লাগান বুদ্ধদেব। বিমানের লিজ়-সহ বিদেশের একাধিক সংস্থার বিভিন্ন বকেয়া মেটানোর জন্য ছ’মাসের মেয়াদে ওই ঋণ চেয়েছিল মাল্যের সংস্থাটি। প্রাথমিক ভাবে পৃথক ঋণ হিসেবে মঞ্জুর না করে পুরনো ৭৫০ কোটি টাকা ঋণের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার কথা ছিল সেটির। অর্থাৎ, ওই ঋণ শোধের কিস্তিকেই সংযুক্ত ঋণ হিসেবে গণ্য করার কথা ছিল। কিন্তু পরে সেই প্রস্তাবকেই বদলে দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। পরে মোট ৯০০ কোটি টাকা ঋণের পুরোটাই অনুৎপাদক সম্পদে (এনপিএ) পরিণত হয়। সিবিআইয়ের আরও দাবি, ঋণের টাকার একটা বড় অংশ সরানো হয়েছিল ফোর্স ইন্ডিয়া ফরমুলা ওয়ান এবং মাল্যের ব্যবহার করা ব্যক্তিগত জেটের খরচ মেটাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy