টানা ১৫ মাস লাগাতার কমছিল বৃদ্ধির হার। অবশেষে তাতে ছেদ টেনে তা মুখ তুলল সামান্য। চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধি দাঁড়াল ৬.৩%। আগের বছরের এই সময়ের ৭.৫ শতাংশের তুলনায় কম হলেও, আগের তিন মাসের (এপ্রিল-জুন) ৫.৭ শতাংশের থেকে যা কিছুটা বেশি।
বেশ কিছু দিন ধরেই মোদী সরকার দাবি করছিল যে, সব থেকে খারাপ সময় কেটে গিয়েছে অর্থনীতির। এ বার তার ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ‘‘নোট বাতিল আর জিএসটি চালু— দুই সংস্কারের প্রভাবকেই পিছনে রেখে এ বার বৃদ্ধির চাকায় গতি বাড়বে দেশের অর্থনীতির।’’
তবে বিরোধী এবং বিশেষজ্ঞদের একাংশের প্রশ্ন, বৃদ্ধি মুখ তুলল ভাল কথা। কিন্তু তার চাকায় সে ভাবে গতি ফিরল কই? তাঁদের মতে, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার লাফিয়ে বাড়ার সম্ভাবনা অল্প। সে ক্ষেত্রে শেষ তিন মাসে ৭% বৃদ্ধির হাত ধরেও কি ৬.৭% বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছুঁতে পারবে কেন্দ্র? ক্ষমতার অলিন্দেরই অনেকে কিন্তু বলছেন ৬.৫ শতাংশের গণ্ডি টপকানোই এ বার মুশকিল হবে মোদী সরকারের পক্ষে।
কেন এই ত্রৈমাসিকে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু, এ দিন তার পক্ষে যুক্তি সাজান জেটলি। বলেন, এ বার উৎপাদন শিল্প ভাল করেছে চোখে পড়ার মতো। ফল ভাল পরিষেবা ক্ষেত্রেও। বেড়েছে লগ্নিও। আগামী দিনে তাই বৃদ্ধির চাকায় গতি আরও বাড়ার সম্ভাবনা।
কিন্তু বিরোধীদের মতে, ক্ষমতায় আসার সময়ে অর্থনীতিকে ভাল অবস্থায় পেয়েছিলেন মোদী। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কম ছিল। সরে গিয়েছিল বিশ্বজোড়া মন্দার মেঘ। সম্ভাবনা ছিল অর্থনীতির মসৃণ ‘টেক অফের’। কিন্তু নোটবন্দি ও তড়িঘড়ি জিএসটি চালু সেই সম্ভাবনায় কুড়ুল বসিয়েছে। তা সে এখন জেটলি যতই পণ্য ও পরিষেবার মোট যুক্তমূল্য (জিভিএ) এ বার ভাল বাড়ার কথা বলুন। কেউ কেউ তাই বলছেন, মসৃণ গতিতে চলতে থাকা গাড়িকে হ্যাঁচকা ব্রেক কষে থামানোর পরে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফের চালু করলে যেমন হয়, এ বার বৃদ্ধি ঘুরে দাঁড়ানো তেমনই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy