হঠাৎই তেজী হয়ে উঠল শেয়ার বাজার। বুধবার এক লাফে সেনসেক্স বাড়ল ৫৭৫.৭০ পয়েন্ট। গত তিন মাসে এই সূচক এক দিনে এত বেশি বাড়েনি। দিনের শেষে তা থিতু হয় ২৫,৮৮১.১৭ অঙ্কে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটিও ১৮৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৭,৯৩৪.৯০ অঙ্কে। অন্যান্য কারণের পাশাপাশি, এর জন্য মূলত ভাল বর্ষার পূর্বাভাসকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ দিন ডলারে ৪২ পয়সা বেড়েছে টাকাও। গত ৯ দিনের টানা পতনের পরে যা এক ঝলক স্বস্তির হাওয়া উদ্বিগ্ন লগ্নিকারীদের কাছে। কারণ, ২০০৭ সালের পরে এত দিন ধরে টানা পড়েনি ভারতীয় মুদ্রা। এ দিন এক ডলারের দাম ফের ৬৭.৩৩ টাকায় নেমে আসায় খানিকটা নিশ্চিন্ত সব মহলই।
কেন এতটা বাড়ল বাজার?
বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশেরই আশা, বাজার এ বার ঘুরে দাঁড়াবে। যুক্তি হিসেবে প্রবীণ বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলছেন, ‘‘প্রথমত, এ বার বর্ষা ভাল হবে বলে আশার বাণী শুনিয়েছেন আবহবিদরা। দ্বিতীয়ত, গত কয়েক দিন ধরে সূচকের টানা পড়ার অন্যতম কারণ ছিল মার্কিন মুলুকে সুদ বাড়ার সম্ভাবনা। কিন্তু সে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি যা, তাতে এখনই সুদ বাড়ানোর পথে ফেডারেল রিজার্ভ হাঁটবে বলে মনে করছে না শেয়ার বাজার। তাই আমার ধারণা, এ বার ভারতের বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে।’’ এ দিকে, ভারতের বাজার নিয়ে এ দিন আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা সংস্থা মর্গ্যান স্ট্যানলি যে মত প্রকাশ করেছে, তা-ও অজিতবাবুর মতো বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যকেই সমর্থন করছে। সংস্থাটির দাবি, ভারতের বাজার এ বার ভালর দিকেই যাবে। এই মন্তব্য লগ্নিকারীদের উৎসাহিত করে। বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, মর্গ্যান স্ট্যানলির এই মতামত বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিকেও ভারতের বাজারে পুঁজি নিয়ে ফিরতে উৎসাহী করবে। সম্প্রতি সূচকের টানা পতনে যাদের হাত ছিল সব থেকে বেশি।
তবে আরও এক দিন বাজারের গতিপ্রকৃতি দেখে তবেই তার চাঙ্গা হওয়ার ব্যাপারে রায় দিতে চান ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর এবং বিশেষজ্ঞ এস কে কৌশিক। তিনি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার আগাম লেনদেনের সেট্লমেন্টের দিন। ওই দিন বাজার কেমন গেল, সেটা আমরা বিচারের মধ্যে আনি না। সূচক যদি শুক্রবারও চাঙ্গা থাকে, তা হলে ‘বুল রান’ শুরু হল বলে মনে করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy