প্রতীকী ছবি।
এই প্রথম জিএসটি জালিয়াতি চক্রের খোঁজ মিলল কলকাতায়। গ্রেফতার হলেন দু’জন। আর পুরো ঘটনার হাত ধরে ফের সামনে উঠে এল ভুয়ো সংস্থার (শেল) রমরমা। যে সব সংস্থা আদপে কোনও ব্যবসাই করেন না। খোলা হয় শুধুমাত্র কর ফাঁকি বা কালো টাকা লেনদেনের জন্য।
সম্প্রতি কলকাতার ডিরেক্টরেট জেনারেল অব জিএসটি ইন্টেলিজেন্স (ডিজিজিআই) জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে সঞ্জয় ভুয়েলকর ও নিতিন জৈনকে। অভিযোগ, মধ্য কলকাতায় দু’জনের অন্তত ১৫টি ভুয়ো সংস্থা আছে। জিএসটি জমানায় ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিটের (কাঁচামাল খাতে মেটানো কর ফেরত) সুবিধাকে হাতিয়ার করেই যারা বেআইনি ব্যবসা ফেঁদেছিল। বাস্তবে কোনও কেনাবেচা করত না। শুধু খাতায়-কলমে লেনদেনের হিসেব দেখিয়ে পাকা বিল বানাত। অন্য কিছু সংস্থা সেই বিল কিনে সরকারের ঘরে জমা দিত পণ্য না কিনেই ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিটের টাকা পাওয়ার জন্য।
সূত্রের দাবি, কলকাতার বাজারে এই জালিয়াতি এখন ‘বিলবেচা’ নামেই ডালপালা ছড়িয়েছে। সেগুলির ক্রেতার তালিকায় বেশ কিছু নাম করা সংস্থাও আছে বলেও অভিযোগ। ওই ১৫টি ভুয়ো সংস্থার জালিয়াতির অঙ্ক এখনও পর্যন্ত ৪০ কোটি টাকা বলে অভিযোগ। তবে আশঙ্কা, তা ছুঁতে পারে ১০০ কোটি। আদালত অভিযুক্তদের ২৮ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy