জিএসটি নেটওয়ার্কে (জিএসটিএন) নিয়মিত সমস্যার জন্য গতকালই নির্মাতা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছিল ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এ নিয়ে কেন্দ্রের দিকে পাল্টা তোপ দাগল ইনফোসিস। পোর্টালে সমস্যার জন্য হঠাৎ-হঠাৎ কেন্দ্রের নীতি বদলকেই দায়ী করল জিএসটি-র তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামো নির্মাণে যুক্ত সংস্থাটি।
জিএসটি জমা ও রিটার্ন ফাইলে সমস্যা নিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের মুখে ইনফোসিসের দিকে আঙুল তুলেছিলেন অর্থ মন্ত্রকের কর্তারাও। তাই এখন সংস্থাটির পাল্টা বিবৃতিতে অস্বস্তিতে কেন্দ্রও। কারণ, জিএসটি চালুর পর থেকে জিএসটি পরিষদই বারবার নিয়ম বদলেছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্থিরতার অভাব দেখা গিয়েছে মোদী সরকারের মধ্যেও।
ইনফোসিসের দাবি, এ ধরনের বড় মাপের প্রকল্পে, বিশেষত যেখানে গোটা ব্যবস্থা বদলাচ্ছে, নীতিতে রদবদল ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের ব্যবহারিক দিকটিও সামলাতে হয়। তার উপর এর সঙ্গে জিএসটি সুবিধা প্রদানকারী সংস্থা, আধার, কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর পর্ষদ, রাজ্যগুলির নানারকম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা ইত্যাদি অঙ্গাঙ্গি ভাবে যুক্ত। একে জটিল প্রকল্প এবং বহু পক্ষ জড়িত, তাতে আবার ঘন-ঘন নিয়ম বদল— সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আদৌ সহজ নয় বলে দাবি তাদের।
অনেকে বলছেন, জিএসটি নেটওয়ার্ক তৈরির বরাত পাওয়া ইনফোসিসের তরফ থেকে এই প্রতিক্রিয়া অপ্রত্যাশিত ছিল না। একে তদন্তের দাবি উঠেছে। তার উপর ৯ সেপ্টেম্বর পরিষদের বৈঠকেও জিএসটি পোর্টালের ব্যর্থতাই আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল। এই সমস্যা খতিয়ে দেখতে বিহারের অর্থমন্ত্রী সুশীল মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি হয়। তারা বেঙ্গালুরু গিয়ে বৈঠক করে বেশ কিছু সমস্যা চিহ্নিত করে ইনফোসিস কর্তৃপক্ষকে জানিয়েওছেন। অনেকের মতে, এ বার বিবৃতিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের গাফিলতির দিকেও আঙুল তুলল ইনফোসিস। তাদের দাবি, পোর্টালের পরিকাঠামো যথেষ্ট পোক্ত। সরকারি সূত্রের খবর, পোর্টালের সমস্যা সামলাতে ইনফোসিস রাজ্যগুলিতে আরও বেশি সংখ্যায় তাদের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy