নিজেদের গ্যাস ক্ষেত্রের অংশীদারি বিক্রি করতে ওএনজিসি-র সঙ্গে কথাবার্তা চালানোর কথা জানাল গুজরাত স্টেট পেট্রোলিয়াম কর্প (জিএসপিসি)। পূর্ব উপকূলে গভীর সমুদ্র থেকে গ্যাস তুলতে হাত মেলানোই দেশের বৃহত্তম তেল ও গ্যাস উত্তোলন সংস্থা ওএনজিসি-র সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার কারণ বলে জানিয়েছে তারা। তবে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ওএনজিসি। গত অর্থবর্ষে তেল উত্তোলন বাড়লেও গ্যাস উৎপাদন কমেছে তাদের।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৫ সালে ওই ক্ষেত্রে বিপুল গ্যাস ভাণ্ডারের খোঁজ পাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। দাবি করেছিলেন, সেখানে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে ২০১১ সালে। কিন্তু এই ক’বছরে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি লগ্নির পরেও কাঙ্ক্ষিত গ্যাসের দেখা পায়নি জিএসপিসি। সমুদ্রের ৫,০০০ মিটার নীচ থেকে গ্যাস তুলতে এখন ওএনজিসি-র হাত ধরতে চাইছে তারা।
পূর্ব উপকূলে ওই ক্ষেত্রের খোঁজ পাওয়ার পরে আন্তর্জাতিক পেট্রোলিয়াম উপদেষ্টা সংস্থা গ্যাফিনে ক্লাইন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের দাবি ছিল, ১৪ লক্ষ ঘন ফুট প্রাকৃতিক গ্যাস সেখানে মজুত। এর ৭.৬ লক্ষ ঘন ফুট তোলা যাবে। কিন্তু তেল-গ্যাস সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক ডিজিএইচ জানায়, তোলা যাবে এমন গ্যাস আছে ২ লক্ষ ঘন ফুট। এখন এত লগ্নির পরেও সেখান থেকে গ্যাস উত্তোলনে ব্যর্থতার জন্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করছেন বিরেধীরা। অভিযোগ তুলছেন দুর্নীতিরও। কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ওই ক্ষেত্র থেকে বিপুল গ্যাস উত্তোলনের দাবি করেন মোদী। তাঁর তত্ত্বাবধানে গ্যাস উত্তোলনের পরিকাঠামো গড়তে ২০ হাজার কোটি ঢেলেছে জিএসপিসি। ধার নিয়েছে ব্যাঙ্ক থেকে। বিরোধীদের দাবি, এত লগ্নিতেও গ্যাস তুলতে না-পারা আসলে টাকা নয়ছয়। এই পরিস্থিতিতে ওএনজিসি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রকল্প সফল করার চেষ্টা চালাচ্ছে গুজরাত সরকারের সংস্থাটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy