প্রথম দশে ঠাঁই পশ্চিমবঙ্গের।
ই-গভর্ন্যান্স প্রকল্পের হাত ধরে এক লাফে বৈদ্যুতিন আর্থিক লেনদেনের (ই-ট্রানজাকশন) সংখ্যা বাড়িয়েছে রাজ্য। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে রাজ্যে মোট বৈদ্যুতিন লেনদেনের সংখ্যা তিন কোটির বেশি। একই সঙ্গে বেড়েছে পরিষেবার সংখ্যাও। আপাতত অনলাইনে ৯৩টি পরিষেবা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। আর, তার জেরেই ৩.৬২ কোটির বেশি ই-আর্থিক লেনদেন নিয়ে রাজ্যের স্থান অষ্টমে।
৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে এ ক্ষেত্রে প্রথমে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তাদের মোট বৈদ্যুতিন আর্থিক লেনদেনের সংখ্যা ৯ কোটির বেশি। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে প্রত্যাশিত ভাবেই যথাক্রমে রয়েছে গুজরাত, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানা। কেন্দ্রীয় ওয়েব পোর্টাল ‘ই-তাল’-এর পাতায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
দেশ জুড়ে বিভিন্ন ই-গভর্ন্যান্স প্রকল্পের মাধ্যমে বৈদ্যুতিন আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ মাপাই ‘ই-তাল’-এর কাজ। আর সেই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তৈরি তালিকার প্রথমে প্রত্যাশিত ভাবেই উঠে এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, কেরল ও গুজরাতের নাম। অনেক পেছন থেকে দৌড় শুরু করে জায়গা করে নিয়েছে তথাকথিত পিছিয়ে পড়া দু’টি রাজ্য মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ়।
গত বছরের শেষে পশ্চিমবঙ্গের ছবিটা অবশ্য মলিনই ছিল। মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগডঢ় হারিয়ে দেয় রাজ্যকে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অনলাইনে টাকা জমার ঝক্কির কারণেই তালিকায় উপরের দিকের জায়গা হারিয়েছিল রাজ্য। স্ট্যাম্প ডিউটি, রেজিস্ট্রেশন, মিউটেশন থেকে শুরু করে পেশা-কর জমা দেওয়ার মতো জরুরি নাগরিক পরিষেবা হোঁচট খাচ্ছিল। কখনও টাকা জমা দিয়েও চালান পাওয়া যাচ্ছিল না। কখনও প্রথম ধাপ পেরিয়ে পরের স্তরে যাওয়া যাচ্ছিল না।
এ সব সমস্যা মিটিয়ে ফেলার পাশাপাশি পরিষেবার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ফলে প্রতিযোগিতায় রাজ্য ফিরতে পেরেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তবে মাথা পিছু বৈদ্যুতিন আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে রাজ্য। অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, কেরল, তেলঙ্গানার মাথা পিছু বৈদ্যুতিন আর্থিক লেনদেন এক হাজারের বেশি। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যা ৩৯৬।
ঘাটতি মিটিয়ে ফেলার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি রাজ্যের। সেই লক্ষ্যেই ই-গভর্ন্যান্সকে পৃথক দফতর হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে এই দফতর থাকছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy