Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Iran-Israel Conflict

হরমুজ বন্ধ হলে প্রভাব তেলের দামে

চাহিদার প্রায় ৮৫% তেল আমদানি করে ভারত। হরমুজ প্রণালী দিয়েই সৌদি আরব, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে তেল এবং কাতার থেকে এলএনজি বয়ে আনে দেশীয় তেল সংস্থাগুলি।

Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:০৬
Share: Save:

পশ্চিম এশিয়ায় ভূ-রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে ফের বাড়াতে পারে অশোধিত তেল ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম। মোতিলাল অসওয়াল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, কেয়ারএজ রেটিংসের মতো উপদেষ্টার মতে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে অশোধিত তেলের ব্যারেল ঘোরাফেরা করছে ৯০ ডলারের আশেপাশে। এ বার যদি ইজ়রায়েলের ক্ষেপনাস্ত্র হানার পাল্টা দিতে গিয়ে ইরান হরমুজ প্রণালী আটকে দেয়, সে ক্ষেত্রে সারা বিশ্বেই জ্বালানির দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা। যা সত্যি হলে ঝামেলায় পড়বে ভারতের মতো তেল আমদানিকারী দেশগুলি। কারণ, তেলের দাম বাড়ায় আমদানি খরচ তো বাড়বেই। তার উপরে মূল্যবৃদ্ধি আবারও মাথাচাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। ফলে সমস্যা হবে ঋণনীতি স্থির করা নিয়ে।

চাহিদার প্রায় ৮৫% তেল আমদানি করে ভারত। হরমুজ প্রণালী দিয়েই সৌদি আরব, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে তেল এবং কাতার থেকে এলএনজি বয়ে আনে দেশীয় তেল সংস্থাগুলি। উল্লেখ্য, ওমান ও ইরানের মধ্যে সরু সমুদ্র প্রণালী হল হরমুজ। যার এক
এক জায়গা ৪০ কিমি চওড়া। দুই জাহাজের মধ্যে ২ কিমির ফাঁক থাকে। এই জলপথ দিয়েই বিশ্বের অধিকাংশ তেল আমদানি-রফতানি হয়। ২০২২-এ হয়েছিল দিনে ২.১ কোটি ব্যারেল, বিশ্বের চাহিদার ২১%। সৌদি আরব দিনে ৬৩ লক্ষ তেল রফতানি করে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, কুয়েত, কাতার, ইরাক করে ৩৩ লক্ষ। ইরান পাঠায় ১৩ লক্ষ ব্যারেল। বিশ্বের এলএনজি আমদানি-রফতানিরও প্রায় ২০% হয় হরমুজ দিয়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Iran-Israel Conflict Oil
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE