—প্রতীকী চিত্র।
জি২০-র সভাপতিত্ব ভারতকে এর সদস্য দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক গাঁটছড়া পোক্ত করতে সাহায্য করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে, এর ফলে পরিকাঠামোর মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ দেশে তাদের লগ্নি টানার বড় সুযোগ খুলেছে। যা খুব সহজে পাওয়া যায় না। তাই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে নয়াদিল্লিকে তার সদ্ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
জি২০ গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ৪৩। তার অন্যতম আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, চিন, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি-সহ ১৯টি দেশ ও ২৭টি দেশের ইউরোপীয় অঞ্চল। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই মঞ্চে দেশগুলি একসঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার কৌশল ঠিক করে। জি২০-র দেশগুলিতে বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ মানুষের বাস। মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি-র প্রায় ৮৫% আসে তাদের হাত ধরে। বিশ্ব বাণিজ্যে ভূমিকা ৭৫%।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এ হেন গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করায় বৃহৎ অর্থনীতিগুলির সামনে শক্তি এবং কৃতিত্বের জায়গাগুলি তুলে ধরতে পারছে ভারত। যা লগ্নি টানা এবং বাণিজ্য সম্পর্ককে মজবুত করার মূল মন্ত্র। তাঁদের বক্তব্য, অবাধ বাণিজ্যের আলোচনা, সহজে ব্যবসার পরিবেশ, আধুনিক পরিকাঠামো, দক্ষ কর্মী, বিরাট জনসংখ্যা ভারত সম্পর্কে আগ্রহী করবে সকলকে। অনেক দেশই যেহেতু লগ্নি এবং জোগানের জন্য বিকল্প বাজার খুঁজছেন।
এই প্রেক্ষিতে পরিস্থিতির সুবিধা নিয়ে দ্রুত কেন্দ্রকে এগোতে আর্জি জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। বলছেন, অবাধ বাণিজ্য চুক্তির আলোচনার গতি বাড়াতে। যাতে বিদেশি বাজার দ্রুত খোলে ও দেশে লগ্নি চাঙ্গা হয়। তবে জি২০-র মঞ্চে কথা বাণিজ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে বলছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy