অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা সামান্য হলেও কাটিয়ে হাল ফিরছে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির।
কিছু ব্যাঙ্ক মুনাফায় ফিরেছে। কয়েকটি আবার লোকসান কমাতে সক্ষম হয়েছে। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ফলাফল দেখে মনে হচ্ছে অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা সামান্য হলেও কাটিয়ে হাল ফিরছে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির। কিন্তু তা সত্ত্বেও ব্যাঙ্কিং শিল্পের আর্থিক ভিত এখনও নড়বড়ে বলেই রিপোর্টে জানাল ডিবিএস।
আর্থিক পরিষেবা বহুজাতিকটির মতে, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বেশিরভাগ ব্যাঙ্কেরই ঋণের সাপেক্ষে মোট অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ কমেছে। নতুন করে অনাদায়ি ঋণ তৈরি হওয়া ঠেকাতেও সক্ষম হয়েছে তারা। ডিবিএসের দাবি, এ সত্ত্বেও সামগ্রিক ভাবে অনুৎপাদক সম্পদ এখনও ১০ শতাংশের উপরে। ব্যাঙ্কে মূলধনও লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়েছে মাত্র। ফলে আগামী দিনেও সরকার ধাপে ধাপে ব্যাঙ্কগুলিতে টাকা জোগানো বজায় রাখবে বলে মনে করছে তারা।
সম্প্রতি দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ফল প্রকাশ করতে গিয়ে আগামী দিনে সম্পদ আরও বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেছে অনেক ব্যাঙ্ক। যদিও ডিবিএসের মতে, সংস্কার এবং বিশেষ উদ্যোগ ছাড়া সেই লক্ষ্য পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। ফলে তা ভবিষ্যতে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। রিপোর্টে দাবি, দেউলিয়া আইনে তুলনায় ভাল সংস্থাগুলি বিক্রি বা গোটানোর প্রক্রিয়া এক বার সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, ব্যাঙ্কগুলির নতুন করে অনাদায়ি ঋণ উদ্ধারে ভাটা পড়তে পারে। যা তাদের সম্পদকে খুব একটা বাড়তে দেবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy